—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পুর এলাকায় চার ফুট জমি ছেড়ে বাড়ি তৈরির নিয়ম রয়েছে। সেই পুর বিধি না মেনে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল খোদ উপ-পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে।
খড়্গপুর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচবেড়িয়া ভুঁইয়াপাড়ার এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ওই ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি তথা খড়্গপুরের উপ-পুরপ্রধান তৈমুর আলি খান ওই বাড়ি তৈরি করছেন বলে অভিযোগ পড়শি মহম্মদ সামুনের। ঘটনায় পুরপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়ে সামুন গত ৬জুন অভিযোগপত্রও দিয়েছেন। সামুনের দাবি, তাঁর বাড়ির দেওয়াল থেকে এক ইঞ্চি জমিও না ছেড়ে বাড়ি তুলছেন উপ-পুরপ্রধান। প্রতিবাদ করায় তৈমুর সামুনকে চোখ রাঙিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
অভিযোগকারী সামুন বলেন, “উপ-পুরপ্রধানের জন্য তো আলাদা পুর আইন নেই। তাহলে কেন আমার বাড়ি থেকে এক ইঞ্চি জমিও না ছেড়ে তৈমুর আলি খান ওই বাড়িটি তৈরি করছেন? আমি পুরপ্রধানের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এখন দেখার পুরসভা সাধারণ মানুষের কথা শোনে কি না!” যদিও উপ-পুরপ্রধান তৈমুরের দাবি, তিনি ওই বাড়ি পুরসভার সাফাইকাজে ব্যবহারের সরঞ্জাম রাখতে তৈরি করছেন। পুরসভায় লিখিত জানিয়েই বাড়িটি করা হচ্ছে। তৈমুর বলেন, “ওই জমি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। সেখানে পুরসভার সরঞ্জাম রাখার জন্যই বাড়ি তৈরি করছি। নিয়ম মেনেই বাড়ি হচ্ছে। অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়ার বাড়ির জন্য অনুমতি লাগে না। তাও আমি পুরসভাকে লিখিত জানিয়েছি।”
পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগে গুরুত্ব দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই পুরসভার পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতিনিধি দল গড়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। শনিবার পুরসভার তরফে দু’পক্ষকে সংশ্লিষ্ট জমির কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেয়েই ইঞ্জিনিয়ারদের তদন্ত করতে বলেছিলাম। দু’পক্ষকে কাগজ নিয়ে পুরসভায় জমা করতে বলা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপকরা হবে।” তৈমুর অবশ্য বলেন, “আমি আমার জমির কাগজ জমা করেছি। জমি জরিপ হলে আমার কিছু জমি ওরা দখল করে রেখেছে সেটাও ধরা পড়বে।” আর অভিযোগকারী সামুনের বক্তব্য, “এটা তো বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ। তাতে অভিযোগকারীর থেকে কেন জমির দলিল চাওয়া হচ্ছে বুঝতে পারছি না!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy