লালগড়ের ধরমপুরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মীয়মাণ একটি রাস্তার কাজ মঙ্গলবার বন্ধ করে দিলেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, কাজটি নিম্নমানের হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ করে বনিশোল থেকে ধরমপুর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার পিচ রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে। ঘাটালের ক্ষীরপাইয়ের একটি ঠিকাদারি সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল নাগাদ কাজটি শুরু হয়। সপ্তাহ খানেক আগে পিচের কাজ শুরু হয়েছে। বনিশোলের দিকে পিচের কাজ হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন ধরে ধরমপুর গ্রামের লাগোয়া সিআরপি ক্যাম্পের কাছে রাস্তাটি পিচ করার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্য করা যায়, যে পিচ হওয়া রাস্তার বেশ কিছু অংশের পিচ উঠে গিয়ে পাথর বেরিয়ে পড়েছে। কয়েক দিন ধরে মেঘলা আবহাওয়া। মাঝে-মধ্যেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে গ্রামবাসীদের একাংশ ঠিকাদারের লোকজনকে কাজ বন্ধ করতে বলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দায়সারা ভাবে নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে। সেই কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশে সদ্য হওয়া পিচ উঠে গিয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীর আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই ঠিকাদারের লোকজন কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপরই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা হইচই জুড়ে দেন।
জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূলের লোকজনও কাজের মান নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এরপরই গ্রামবাসীর বাধায় ঠিকাদারের কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন। ধরমপুরের বাসিন্দা স্থায়ীয় পোস্টমাস্টার বিমল পাণ্ডে, পেশায় চাষি শিবনাথ মাহাতোরা বলেন, “সরকার উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করছেন, কিন্তু উপযুক্ত দেখভালের অভাবে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। তাই দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।” ধরমপুর থেকে নির্বাচিত লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য টুলুরানি মাহাতো বলেন, “এক সপ্তাহ হল রাস্তায় পিচ পড়েছে, তার মধ্যেই পিচ ফেটে গিয়ে উঠছে শুরু করেছে। অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। বিষয়টি বিডিওকে জানিয়েছি।” বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগী বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। নির্মীয়মাণ রাস্তার যাবতীয় কাজ জেলা পরিষদের মাধ্যমে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলকে
বিষয়টি জানাব।”
ছাত্র-যুব উত্সব। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল সাঁকরাইল ব্লকের ছাত্র-যুব উত্সব ‘ফিরে চল মাটির টানে’। এ দিন ব্লকসদর রোহিনী এলাকার সিআরডি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে উত্সবের উদ্বোধন করেন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মনোরমা পাত্র।