এখনও গাঁথা হয়নি একটি ইটও। নিজস্ব চিত্র
নীল-সাদা দোতলা বাড়িটার সামনে গ্রিল খোলা। নীচের তলার ঢোকার মুখে যে জানালা রয়েছে, তার কাচ কয়েক জায়গায় ভাঙা। সিঁড়ির মুখে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বোর্ড তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তা-ও অসম্পূর্ণ অবস্থায় খোলামেলা পড়ে রয়েছে। খোদ পুলিশ ব্যারাকের এমন ছবি ধরা পড়ল শিল্প শহর হলদিয়াতে।
স্বপন দাস নামে এক প্রবীণের কথায়, ‘‘কত কী ঘটে যাচ্ছে চোখের সামনে। পুলিশের কেউ যদি এখানে এসে থাকে, তবে আমরা স্বস্তিতে থাকতাম।’’ শুধু ওই প্রবীণ নন। পুলিশের এমন ভবন নিয়ে বেজায় আতঙ্কে দিন কাটে স্থানীয়দের। অনেকেরই অভিযোগ, বহিরাগতেরা ঢুকে নানা অসামাজিক কাজ করে। মাঝেমধ্যে অবশ্য পুলিশি ধরপাকড় চলে। সেসময় ‘আড্ডা’ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকে। কিন্তু কয়েকদিন পর ফের একই অবস্থা তৈরি হয়। অভিযোগ- ‘বহিরাগতরাই’ এখানে ঢুকে ভবনের জানলার কাচ ভেঙে দিয়েছে। এমনকি, কোলাপসিবল দরজার তালা কেটে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, হলদিয়া পুরসভার ভবানীপুর মৌজার ভবানীপুরে একটি পুলিশ ব্যারাক গড়ে তুলতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তারজন্য জমি বরাদ্দ করে ভবন তৈরি শুরুও হয়ে গিয়েছিল। এরজন্য ২৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা খরচ করা হয়। একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে। রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতরের হলদিয়া বাস ডিপোর একেবারে ধারে নব নির্মিত এই ভবন শিলান্যাস হয় ২০১১ সালে। বছর তিনেক আগে কাজ শেষ হলেও এখনও চালু হয়নি পুলিশ ব্যারাক।
শিলান্যাসের শিলা অবশ্য এখন ঘুঁটে দেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়। পাশে ঝুপড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে এক মহিলা ওই সব জ্বালানি সরিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘এখানে কী হবে বলতে পারবেন। এতদিন বাড়ি হয়েছে। কিন্তু কেউ আসেনি।’’
হলদিয়ার এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস,‘‘কিছু দিনের মধ্যেই ব্যারাক চালু হয়ে যাবে।’’ এ ভাবে পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছে সম্পত্তি! অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হলদিয়া) পারিজাত বিশ্বাস জানিয়েছেন- এমনটা হওয়া অনুচিত। কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে, শীঘ্র ওই ব্যারাক চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy