Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শৌচাগার নির্মাণে গতি নেই, দুর্নীতি দোসর

মিশন নির্মল বাংলার কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চেয়েত এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পরিষদ। গত এপ্রিলে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬
Share: Save:

মিশন নির্মল বাংলার কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চেয়েত এলাকায় শৌচাগার নির্মাণ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা পরিষদ। গত এপ্রিলে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে। কিন্তু পাঁচ মাস হতে চলল, এখনও বেশ কিছু পঞ্চায়েত কাজই শুরু করেনি! হিসেব বলছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬০টিতে শৌচাগার নির্মাণের সংখ্যা শূন্য। ঘটনা জেনে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে শূন্য থেকে সংখ্যায় উঠতে হবে। নির্মাণ কাজ শেষ করে এমআইএসে এন্ট্রি দেখাতেই হবে।

জেলায় শৌচাগার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা একটু বেশি। ২০১২ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, জেলার ১১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬২২টি পরিবারের মধ্যে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৮০৫টিতে শৌচাগার নেই। সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। কারণ, সমীক্ষায় ত্রুটি ছিল। তাছাড়া, বিগত কয়েক বছরে বহু একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে নতুন পরিবারের সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে, প্রকল্প শেষ করতে হবে ২০১৯ সালের মধ্যে। তাই প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ধরে কাজ শুরু করলেও পরে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয় জেলা পরিষদ। চলতি আর্থিক বছরে জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে একযোগে কাজ শুরু হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, হাতে গোনা কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ভাল কাজ করলেও বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে কাজের গতি ভীষণ শ্লথ। আর মেদিনীপুর সদর ব্লকের বনপুরা, গড়বেতা-১ ব্লকের আমলাগোড়া, বেনাচাপড়া, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের কেন্দুগাড়ি, চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের জাড়া, খড়্গপুর-১ ব্লকের অর্জুনীর মতো ৬০টি পঞ্চায়েত এখনও পর্যন্ত একটি শৌচাগার নির্মাণও শেষ
করতে পারেনি।

এর মধ্যে আবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সরকারি নির্দেশিকা না মেনে ইট, সিমেন্ট কম পরিমাণে ও নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি গড়বেতা-৩ ব্লকের কড়সা গ্রাম পঞ্চায়েতে শৌচাগার ভেঙে পড়ার ঘটনাও ঘটে। আনন্দবাজার পত্রিকাতেই সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে জেলা পরিষদের তরফে বিডিওকে তদন্ত করতে বলা হয়। তদন্ত রিপোর্ট অবশ্য এখনও আসেনি। তদন্তে দুর্নীতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলা পরিষদ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Construction Toilets Delayed
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE