Advertisement
১৯ মে ২০২৪
TMC WhatsApp Group

নজরে ভোট, মত জানতে তৃণমূলের হোয়াটসঅ্যাপ  

বিজেপিকে টক্কর দিতে সমাজ মাধ্যমে সক্রিয় হতে দলের নেতা ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৫
Share: Save:

নজরে লোকসভা ভোট। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরর খাসতালুক কাঁথিতে ঘাস ফুল শিবিরকে সক্রিয় করতে ব্লকভিত্তিক সমাজমাধ্যমের উপর জোর দিতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। সেই উদ্দেশ্যে কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় চালু করা হয়েছে চারটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। বুথ থেকে অঞ্চল এবং ব্লক স্তরে কী করলে দল সমৃদ্ধ হবে— সেখানে সে সম্পর্কে মতামত জানাতে হবে দলের নেতা ও কর্মীদের।

গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ওই নম্বরগুলি চালু হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। যার উদ্বোধন করেছেন তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা। তৃণমূল সূত্রের খবর, কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় ১৪টি ব্লক এবং দুটি শহর এলাকা রয়েছে। ২১০০টির বেশি বুথ রয়েছে। আপাতত কাঁথি শহর, কাঁথির তিনটি এবং রামনগরের দুটি ব্লকের জন্য ৯৯৩৩৬৬৭১৪৭ নম্বরে সমস্ত কিছু হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন দলের নেতা ও কর্মীরা। খেজুরি-১, ২, ভগবানপুর-১,২ এবং চণ্ডীপুর ব্লকের জন্য ৯৯৩২৫৩৭১৪৭ এবং পটাশপুরের দুটি ব্লক, এগরার দুটি ব্লকষ এগরা পুরসভা এলাকার জন্য ৭০৪৭৯২৯৩৮৬ নম্বর চালু করেছে তৃণমূল। এছাড়া, জেলা তৃণমূল সভাপতি ব্যক্তিগত নম্বরেও হোয়াটসঅ্যাপ করে জানানো যাবে তথ্য। পীযূষ বলছেন, ‘‘দলকে সমৃদ্ধ করতে হলে নীচুতলার কর্মীদের মতামত চাই। বিভিন্ন এলাকায় দলের নেতা ও কর্মীরা যে সব কর্মসূচি নেন, সেগুলি সঠিকভাবে প্রচারে আসে না। এবার প্রতিটা বুথ যে সক্রিয় রয়েছে, তার খোঁজ পাওয়া যাবে।’’

উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটে ১৬টি আসনের মধ্যে জেলায় সাতটি আসন হাতছাড়া হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের। এবছর পঞ্চায়েত ভোটেও বহু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং চারটি পঞ্চায়েত সমিতি তাদের হাতছাড়া হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দল দায়ী বলে মনে করে শাসকদল। আগামী লোকসভা ভোটে যাতে এমন ফল না হয়, সে জন্য এলাকাভিত্তিক দলের নেতা ও কর্মীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিজেপিকে টক্কর দিতে সমাজ মাধ্যমে সক্রিয় হতে দলের নেতা ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও জেলায় সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের সে রকম প্রচারের উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ইদানিং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে প্রতি বুথে কর্মসূচিও জেলার অনেকাংশে হয়নি বলে খবর মিলেছে। তাই লোকসভা ভোটের আগে যাতে সংগঠনে কোনও রকম ফাঁকফোকর না থাকে, সে জন্য যাবতীয় কর্মসূচির তথ্য এবং ছবি ও ভিডিয়ো পাঠাতে বলা হচ্ছে।

এমন আবহে তৃণমূলের এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তাপস কুমার দোলুই বলছেন, ‘‘কোনও লাভ হবে না। যত যাই করুক না কেন, সাধারণ মানুষ আর তৃণমূলকে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না। লোকসভা ভোটে ওরা জেলার দুটি আসনেই হারবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Contai
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE