Advertisement
E-Paper

অশালীন মন্তব্য, অভিযোগ প্রদীপের

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ ও পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের একসঙ্গে ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ফেসবুকে। এক ফ্রেমে দু’জনের ছবিতে অনেকে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০১:৫২
ফেসবুকে ছড়িয়েছে এই ছবিই। নিজস্ব চিত্র

ফেসবুকে ছড়িয়েছে এই ছবিই। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ ও পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের একসঙ্গে ছবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ফেসবুকে। এক ফ্রেমে দু’জনের ছবিতে অনেকে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ। এর জেরে শহরে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পুরপ্রধান প্রদীপবাবু।

গত রবিবার বিজেপি নেতা প্রেমচাঁদ ঝাঁর মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ভোজে পাশাপাশি বসেছিলেন দিলীপবাবু ও প্রদীপবাবু। সেই ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ছবি নিয়ে অনেকে অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় ফেসবুকে বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, ছবিতে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন দলেরই রাজা সরকার ও মিঠু প্রধান। তাই তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন প্রদীপবাবু।

পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর অভিযোগ, “ফেসবুকে রাজা সরকার ও মিঠু প্রধান আমার নামে কুৎসা করেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শহরে অশান্তি ছড়াতে পারে। এমনকী আমিও বিপদে পড়তে পারি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এমনকী আমার জন্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।”

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে জানিয়ে দেন, স্যোশাল মিডিয়ায় দলের নেতা-কর্মী ও দল বিরোধী কোনও মন্তব্য করা যাবে না। তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার দলের কর্মীরা অপ্রতিকর মন্তব্য করায় অস্বস্তিতে শাসকদল।

তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “কেউ ব্যক্তিগত কোনও মন্তব্য করতেই পারেন। কিন্তু দল বা দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও দলীয় কর্মীর ফেসবুকে মন্তব্যকে আমরা সমর্থন করি না। বিষয়টি দলের উঁচু মহলে জানানো হয়েছে।”

এ নিয়ে তৃণমূল কর্মী রাজা সরকারের অভিযোগ, “আমার আগে ফেসবুকে বিজেপির কয়েকজন ওই ছবি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। আমি তাই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে খোঁচা দিতে এই মন্তব্য করেছি। সেটা দলের শহর সভাপতিও ‘শেয়ার’ করেছেন। তাতে যদি অন্য কারও কিছু মনে হয় তাহলে কিছু করার নেই।” যদিও প্রদীপ সরকারের দাবি, ‘‘তাঁকে ঘিরেই রাজা ফেসবুকে কুৎসিত মন্তব্য করেছে।’’

আর এক অভিযুক্ত মিঠু প্রধানের দাবি, “আমি পুরপ্রধানের রাজনৈতিক জন্মের ঠিক নেই বলতে চেয়েছি।” রাজা সরকার ও মিঠু প্রধান শহরের তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরীর অনুগামী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত।

এ নিয়ে দেবাশিসবাবু বলছেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে দলীয়স্তরে আলোচনা করব।” এ নিয়ে তৃনমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আমি শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরে বৈঠকে বসব।”

খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “আমরা এই অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। কোন ধারায় মামলা রুজু হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

BJP Dilip Ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy