প্রয়োজনীয়: করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনও জিজ্ঞাসা থাকলে ৪১৭৯৮৯৩১৮৯২ নম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বার্তা পাঠানো যাবে।
বিভিন্ন দেশের প্রশাসন নড়ে গিয়েছে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে। জার্মানি, ইতালি, আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্সের মতো দেশে সাময়িক বন্ধ রাখার ব্যবস্থা চালু। ভারতেও আংশিক ভাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই অবস্থায় বহু মানুষ আতঙ্কিত। তাঁরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে না বুঝেশুনে যে সুরক্ষা ব্যবস্থার কাছে নিজেদের সমর্পণ করছে। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। তাঁরা অনলাইন নানা প্রস্তাব দিয়ে অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থার ছদ্মবেশে কাজ হাসিলের চেষ্টা করছে। নেওয়া হচ্ছে বিমা সংস্থার ছদ্মবেশও। প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে বিমা করিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কারণ অনেক অপরাধী তাদের নাম করেও ব্যক্তিগত তথ্য় চাইছে। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক করেছে। ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সম্প্রতি জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। ইতিমধ্যেই সে দেশের মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে। আমেরিকার ওয়াশিংটনেও একই সমস্যা। নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ বৃদ্ধারাও অপরাধীদের জালিয়াতির শিকার হচ্ছেন।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই ক’দিনে করোনাভাইরাসের সচেতনতা সংক্রান্ত দরকারি মেসেজ বা ইমেলের সঙ্গে বহু অচেনা বার্তাও আসছে। এ বিষয়ে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ও ওয়াশিংটন প্রশাসন কিছু পরামর্শ দিয়েছে। বলা হয়েছে, অচেনা ফোন নম্বর বা মেসেজের উত্তর না দিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী কী বিষয়ে সচেতন থাকবে হবে তার নির্দিষ্ট করে জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য তারা কখনওই কারও ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড জানতে চায় না। কাউকে ইমেল করে কিছু জানতে চায় না। ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.ডব্লিউএইচও.আইএনটি ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোনও ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেয় না। আরেকটি বিষয়ে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা কখনও চাকরির আবেদনের জন্য, কোনও সম্মেলনের নাম নথিভুক্ত করার জন্য বা হোটেল বুকিংয়ে অর্থ দাবি করে না। এই সংস্থা ইমেলের মাধ্যমে কোনও লটারির আয়োজন করে না। ইমেলের মাধ্যমে কোনও শংসাপত্র দেয় না। অর্থও দেয় না। তারা শুধু করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তহবিলে দান চায়। তা-ও নির্দিষ্ট মাধ্যমে। এই তহবিলের নাম ‘কোভিড-১৯ সলিডারিটি রেসপন্স ফান্ড’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট খুললেই এ বিষয়ে লিঙ্ক দেখতে পাওয়া যায়।
কী করে জালিয়াতি হতে পারে? অপরাধীরা কোনও ইমেল পাঠিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাইতে পারে। বলতে পারে কোনও ক্ষতিকর লিঙ্কে ক্লিক করতে। বা সন্দেহজনক অ্যাটাচমেন্ট পাঠিয়ে খুলতে বলতে পারে।
এ বিষয়ে কী করতে হবে তার পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১। লিঙ্কে ক্লিক করার আগে ভাল করে দেখে নিতে হবে।
২। ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার আগে সাবধান থাকা জরুরি। সবসময়ে ভেবে দেখা উচিত, কেন কেউ তথ্য চাইছে আপনার থেকে? কারণ ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ দেওয়ার কোনও কারণ নেই।
৩। কখনও দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ আতঙ্কের সময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টিকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অপরাধীরা।
৪। যদি কেউ কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েও দেন তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। দ্রুত ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড বদলে ফেললেই হবে।
৫। কোনও সন্দেহজনক ইমেল এলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy