Advertisement
E-Paper

আক্রান্তের জন্য নজরে ডেবরাও

সোমবারই ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে করে স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ০৩:২৯
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

করোনা আক্রান্ত বাড়ছে। কিন্তু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য শালবনিতে যে হাসপাতালটি তৈরির কথা ছিল সেটি এখনও তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি দেখে ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতালকেও করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনে।

সোমবারই ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল পরিদর্শনে করে স্থানীয় প্রশাসনের একটি দল। ডেবরায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে অবশ্য করোনা হাসপাতাল হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, ডেবরা গ্রামীণ হাসপাতাল করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়ে গেলে করোনা চিকিৎসায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে যাবে। শালবনির পরে কি ডেবরায় করোনা হাসপাতাল চালু হবে? জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতির জবাব, ‘‘হতে পারে। সব দেখে যে পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’

ওই সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, করোনা হাসপাতালের চারটি লেভেল হয়। এর আগে মেদিনীপুর শহরতলির আবাসে লেভেল ১ হাসপাতাল (আয়ুষ) চালু হয়েছে। মেদিনীপুর শহরতলির মোহনপুরে লেভেল- ২ হাসপাতাল (গ্লোকাল) চালু হয়েছে। শালবনিতে লেভেল ৪ হাসপাতাল (শালবনি সুপার স্পেশালিটি) চালু হওয়ার কথা। এরপর ডেবরায় লেভেল ৩ (ডেবরা গ্রামীণ) হাসপাতাল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। লেভেল- ১ এবং ২ এ শুধুমাত্র করোনা-সন্দেহভাজনদেরই রাখা হয়। সেখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হয় না। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালটি লেভেল ৩ এবং ৪— দুই স্তরেরই। পশ্চিম মেদিনীপুরের আক্রান্তদের সেখানেই পাঠানো হত। কিন্তু গত শনিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের আক্রান্তদের সেখানে নেওয়া হচ্ছে না। তাই গত তিন দিনে জেলায় যে সব আক্রান্তের হদিস মিলেছে, তাঁদের মেদিনীপুর শহরতলির করোনা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কবে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু হবে তা অবশ্য সোমবার পর্যন্ত ঠিক হয়নি। সেখানে এখনও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে। জেলাশাসক রশ্মি কমলের আশ্বাস, ‘‘শীঘ্রই শালবনির হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হবে।’’ জেলা প্রশাসনের অন্য এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ‘‘কোনও হাসপাতাল কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে হলে সেখানে কিছু পরিকাঠামো গড়তে হয়। শালবনিতে এখন আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিসিইউ-সহ অনান্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে।’’ তিনি জানান, সেখানে ভেন্টিলেটরের সুবিধাও থাকবে। সুপার স্পেশালিটির অদূরে শালবনি গ্রামীণ হাসপাতাল রয়েছে। সেই হাসপাতালটি আলাদা চালু থাকবে। দুই হাসপাতালে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা পৃথক করা হচ্ছে।

মেদিনীপুর শহরতলির দুই করোনা হাসপাতালে এখন ৫০টি করে শয্যা রয়েছে। শালবনিতে ১৫০টি শয্যা থাকার কথা। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি শয্যা চালু হচ্ছে। ডেবরায় ৫০টি শয্যা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে মেদিনীপুর শহরতলির দুই হাসপাতালেও শয্যা বাড়ানো হতে পারে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা দেখে নিচ্ছি, কোন হাসপাতালের কী কী পরিকাঠামো এখন রয়েছে।’’

Coronavirus in Midnapore Debra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy