হলদিয়া পুর এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। করোনা আবহে শিল্পশহর হলদিয়ার পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ। প্রতিটি এলাকায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এই অবস্থায় হলদিয়া পুরএলাকায় সিংহভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজেদের এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
কোভিড বিধি সাধারণ মানুষ মেনে চলছে কিনা সে ব্যাপারেও হুঁশ নেই জনপ্রতিনিধিদের। তাঁরা নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত।। পুরএলাকার বিভিন্ন বাজারে এখনও করোনা বিধি মানায় শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। রাস্তার লোকজনের আনাগোনাও কম নয়। ফলে বেলাগাম ভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই সময়ে এলাকায় মানুষের পাশে থেকে যে ভূমিকা নেওয়া উচিত ছিল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। যে সমস্ত জনপ্রতিনিধি বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজ করতে পারছিলেন না বলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বর্তমানে এলাকাতে তাঁরাও অদৃশ্য পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের
বাসিন্দাদের অভিযোগ।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল কুমার আদক, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রিয়া মাইতি এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসকে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের নিজেদের ওয়ার্ডে দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেখানকার মানুষ। এমনই একজন বলেন, ‘‘ভোটের আগে সবাই মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন। কিন্তু এখন যখন সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে টানাটানি হচ্ছে তখন সেই সব জনপ্রতিনিধিরা কোথায়?’’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোনও পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে সেই পরিবারের পাশে কাউন্সিলরদের একাংশকে দেখা যাচ্ছে না। করোনা আক্রান্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাইরে মানুষজনের সাথে মেলামেশা করছেন কিনা সে বিষয়ে নজরদারি নেই। হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে কোভিড শ্মশান। ওই এলাকার কাউন্সিলর দীপক পন্ডাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
যদিও অন্য ছবিও রয়েছে। হলদিয়ার পুরপারিষদ তথা তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্কর নিজের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকার যুবকদের নিয়ে একটি দল তৈরি করেছেন। এলাকার কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন ওই যুবকরা। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘আমরা জনপ্রতিনিধি। করোনা আবহে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কাজ। সেই কাজটাই করছি।’’
কাউন্সিলরদের সম্পর্কে এলাকার মানুষের অভিযোগ নিয়ে পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দলের কাউন্সিলাররা এলাকায় কাজ করছেন। তবে তিন বিজেপি কাউন্সিলর এলাকায় নেই বলে শুনেছি।বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’’