Advertisement
E-Paper

মুখে নেই মাস্ক, বাংলা নববর্ষে বে-হুঁশ ভিড়

কাঁথি শহর, রামনগর, মুকুন্দপুর, দিঘা-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বড় দোকানগুলিতে হালখাতা উৎসবে প্রচুর ক্রেতাকে দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৪
মাস্ক ছাড়াই নববর্ষের বিকেলে। কাঁথির রাস্তায়।

মাস্ক ছাড়াই নববর্ষের বিকেলে। কাঁথির রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীকে করোনা সতর্কতা বিধি মানাক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষের উৎসবে ভিড়ের সাক্ষী থাকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন বাজার এলাকা। বলাবাহুল্য কাঁথি সহ আশপাশের এলাকায় করোনা সতর্কতা নিয়ে বিধি পালনে এতটুকু সচেতনতা নজরে পড়ল না।

প্রশাসনিক ভাবে করোনা বি‌ধি পালনের নির্দেশ থাকলেও তার তোয়াক্কা না করেই নববর্ষের সকাল থেকে কাঁথি শহরের একের পর এক মন্দিরে উপচে পড়ল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পুণ্যার্থীদের ভিড়। বেশিরভাগেরই মুখে মাস্কের বালাই ছিল না। কয়েকজনের কাছে মাস্ক থাকলেও তার ঠাঁই ছিল থুঁতনির নীচে। সেই সঙ্গে ছিল না দেখ যায়নি পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব বিধি মানার ক্ষেত্রে ন্যূনতম সচেতনতা। মানুষজন এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, মুখে মাস্ক না থাকার কারণ নিয়ে কয়েক জনকে প্র‌শ্ন করা হলে তারা হেসে উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। কেউ আবার ভোটের সময় রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতে করোনা বিধি না মানার অজুহাত খাড়া করেছেন।

শুধু মন্দির নয়, এদিন কাঁথি শহর, রামনগর, মুকুন্দপুর, দিঘা-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বড় দোকানগুলিতে হালখাতা উৎসবে প্রচুর ক্রেতাকে দেখা গিয়েছে। তবে বেলা বাড়তে সেই ভিড় অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল। ফের সন্ধ্যে নামার পর শহরের ছোটখাটো দোকানগুলিতে মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। সেক্ষেত্রেও করোনা বিধি মানার কোনও হুঁশ চোখে পড়েনি। তবে বাংলা বছরের প্রথম দিন পর্যটকদের চেনা ভিড়ের ছবিটা উধাও ছিল সৈকত শহর দিঘা, মন্দারমণিতে। ওল্ড এবং নিউ দিঘার সমুদ্র সৈকতে সামান্য সংখ্যক পর্যটকদের দেখা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১,৫০৪ জন। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৮৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি কাঁথি শহরের এক ব্যবসায়ী কৌশিক মিশ্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তার পরেও বছরের প্রথম দিন কাঁথি শহরের সুপার মার্কেট, নেতাজি মার্কেট এলাকায় আনাজ এবং মাছ ও মাংসের দোকানে যথেষ্ট ভিড় দেখা গিয়েছে। করোনা নিয়ে সচেতনতা ছিল অদৃশ্য। যদিও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে বুধবার থেকে শহরজুড়ে প্রশাসন এবং পুরসভার তরফে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রচার করা হয়। মুখে মাস্ক ব্যবহার এবং বার বার স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। কাঁথি শহরের পৃথক কুড়িটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাঁথি শহর বাজার ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির সম্পাদক জগদীশ ডিন্ডা বলেন, ‘‘প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও আমন্ত্রণ পত্র বিতরণের সময় করোনা বিধি সম্পর্কে সকলকে সজাগ থাকতে বলেছিল। তারপরেও এ ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। তবে দোকানগুলোতে ভিড় তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।’’

করোনা বিধি অমান্য করায় প্রশাসন কেন পদক্ষেপ করেনি সে প্রসঙ্গে কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানি বলেন, ‘‘সচেতনতা মূলক প্রচার চলছে। সেখানে মুখে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার এবং প্রতিষেধকের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

coronavirus COVID19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy