—প্রতীকী ছবি।
করোনার টিকা (ভ্যাকসিন) দেওয়ার কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসেই জেলায় চলে আসতে পারে সেই টিকা।
রবিবার গড়বেতায় এক অনুষ্ঠানে এসে তেমনই জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘নতুন বছরে জেলাবাসীর জন্য সুখবর আসছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনার টিকা জেলায় চলে আসার কথা। নতুন বছরেই তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রশিক্ষণ পর্ব মিটলেই চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক করা হবে।’’ তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ৪৫ হাজার টিকা আসবে। সেগুলি সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলাতে ‘ওয়াক ইন কুলারে’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের নির্দেশিকা জেলায় এসেছে। জেলা ও ব্লক স্তরে কাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, কারা দেবেন প্রশিক্ষণ— সব জানানো হয়েছে সেখানে। ব্লক স্বাস্থ্য দফতরেও সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। তারপরে জেলার কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিক সল্টলেকে প্রশিক্ষণ নিতেও গিয়েছেন। তাঁরা ফিরলেই জেলার প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হওয়ার কথা। আশাকর্মী, এএনএম, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, এসএইচজি ছাড়াও অন্য কয়েকটি বিভাগের (যেমন এনসিসি, এনএসএস প্রভৃতি) কর্মীদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই জেলাশাসকের তত্বাবধানে এই নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা।
ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনা টিকা দেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১০,০০২ জন স্বাস্থ্যকর্মীর তালিকা তৈরি হয়েছে। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের দফতরে করোনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জেলা টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়। ওই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারপার্সন জেলাশাসক আয়েষা রানি। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী, দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার, তৃতীয় পর্যায়ে যাঁদের বয়স ৫০-এর বেশি অথবা যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁরা টিকা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy