Advertisement
E-Paper

ঝুঁকির বিনিময়ে নিরাপত্তা দাবি

বেতন ও অন্য দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে দাবিপত্র দিয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০ ০০:২৭
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

কাজ বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে ঝুঁকিও। কিন্তু বেতনই যে অনিয়মিত। অন্য সুযোগ সুবিধা!তা-ও তেমন মেলে না। অথচ করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে তাঁরাও যে সরকারের বল-ভরসা। তাঁরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলির অস্থায়ী কর্মী। বেতন ও অন্য দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে দাবিপত্র দিয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন।

করোনা নিয়ে জেরবার সারা দেশ। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয়ভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতালে সব রোগীকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটিও করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উপর ‘চাপ’ বাড়ালেন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলির অস্থায়ী কর্মীরা। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত ওই অস্থায়ী কর্মীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। তাই সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে তাঁদের নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। এ বিষয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই দাবি মানতে গেলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুতরাং সর্বোচ্চ স্তরের অনুমোদন প্রয়োজন।

রাজ্যের ৪২ টি সুপার স্পেশ্যালিটিতে প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। ওয়ার্ড বয়, হাউস কিপিং, সিকিয়োরিটি, লিফট-ফায়ার-ইলেকট্রিক্যাল-এসি মেন্টেন্যান্স, ডায়েট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পরিষেবা দেন ওই কর্মীরা। তাঁরা বেসরকারি সংস্থার কর্মী। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ওই কর্মীদের সরাসরি কোনও যোগসূত্র নেই। এদিকে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা তদের কর্মীদের সময়মতো বেতন দেয় না বলে অভিযোগ। এ ছাড়া অন্য কোনও রকম সুযোগ সুবিধাও পান না অস্থায়ী কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে ‘সারা বাংলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী সংগঠন’ দাবি তুলেছে, তাদের স্বাস্থ্য দফতরের আওতায় নিয়ে আসা হোক। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর জানা বলেন, ‘‘রাজ্যের ৪২টি সুপার স্পেশ্যালিটিতে নিরন্তর পরিষেবা দিয়ে চলেছেন অস্থায়ী কর্মীরা। অথচ বেসরকারি সংস্থা নিয়মিত বেতন দিচ্ছে না। কলকাতার বাঙুর, ডায়মন্ড হারবার, এগরা, উলুবেড়িয়া, নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়ার মতো ১১টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বেতন পাননি।’’

শঙ্কর জানান, করোনাভাইরাসের জন্য কর্মীদের চাপ আরও বেড়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রাখতে কর্মীরা রাত দিন খেটে চলেছেন। কিন্তু নিয়মিত বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না পেয়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।

সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটির অস্থায়ী কর্মীরা মাস্ক ও গ্লাভসের দাবিতে সুপারের কাছে বিক্ষোভ দেখান। এজেন্সির তরফে মাস্ক ও গ্লাভস দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটির অস্থায়ী কর্মীদের মাস্ক ও দিয়েছে। অস্থায়ী কর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেলার প্রধান সুপার স্পেশ্যালিটি গুলি করোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে অস্থায়ী কর্মীদের কার্যত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে। কর্মীরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু তাঁদের বিষয়টিও রাজ্য সরকারকে সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে হবে

Provisional Workers CMO Cronavirus Novel Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy