Advertisement
E-Paper

স্কুল-কলেজ থেকে সরছে নিভৃতবাস

রাজ্য সরকারের নির্দেশেই প্রতি ব্লকে এমন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। কোনও ব্লকে ১- ২টি, কোনও ব্লকে ৩- ৪টি কিংবা আরও বেশি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:৪৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

স্কুল, কলেজ-সহ কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কোয়রান্টিন কেন্দ্র রাখা যাবে না। নয়া নির্দেশ রাজ্য সরকারের।

রাজ্যের নির্দেশ মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা কেন্দ্রগুলি অন্যত্র সরানো শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সৌর মণ্ডল মানছেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়রান্টিন কেন্দ্র থাকবে না। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তো কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জন্য স্কুলগুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমে মোট ৭৭টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ৪৪টি সেন্টার ছিল স্কুল- কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। প্রশাসন সূত্রের খবর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বদলে কোয়রান্টিন কেন্দ্র হিসাবে কোথাও বেছে নেওয়া হচ্ছে নার্সিংহোম, আবার কোথাওবা স্টেডিয়াম। হিমঘর এবং ফ্লাড শেল্টারেও তৈরি হচ্ছে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র।

রাজ্য সরকারের নির্দেশেই প্রতি ব্লকে এমন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। কোনও ব্লকে ১- ২টি, কোনও ব্লকে ৩- ৪টি কিংবা আরও বেশি। সবংয়ে ৮টি সেন্টারের মধ্যে ৪টিই ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পিংলায় আবার ১০টি সেন্টারের মধ্যে ৯টিই ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। রাজ্যের নির্দেশ আসার পর অবশ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা সেন্টারগুলি অন্যত্র সরানো হচ্ছে। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে দু’জন পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীকে সরিয়ে ঘাটালের এক নার্সিংহোমে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি নার্সিংহোম এবং ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামকে তৈরি রাখা হয়েছে। চন্দ্রকোনা-১ব্লকে ব্রহ্মঝাড়ুল হাইস্কুল থেকে সরিয়ে কুলদহ ফ্লাড সেল্টারে কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। চন্দ্রকোনা-২ব্লকের পলাশচাবড়ি নিগমানন্দ হাইস্কুলের বিকল্প স্থানীয় রঘুনাথগড়ে এক হিমঘরে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টার হিসাবে তৈরি করা হয়েছে।

দাসপুর-১ব্লকের সরবেড়িয়া হাইস্কুলের বদলে বিকল্প স্থানীয় বৈকুন্ঠপুরের এক লজে আপাতত কোয়রান্টিন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে সাতজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সাত জনের মধ্যে দাসপুরের আক্রান্ত যুবকের জেঠু, জেঠিমা, দাদা ও বৌদিও রয়েছেন। ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, “বিকল্প জায়গায় কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি ঘর খোঁজার কাজ চলছে।”

কেন এই নির্দেশ? বিভিন্ন মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, বীরভূমের পাড়ুইয়ের ঘটনার কথা। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামের স্কুলে কোয়রান্টিন সেন্টার গড়তে গিয়েছিল প্রশাসন। সেই নিয়ে দু’ভাগ হয়ে যান গ্রামবাসীরা। বচসা থেকে শুরু হয় বোমা- গুলির লড়াই। সেই লড়াইয়ের মাঝখানে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। শুধু বীরভূম নয়, অন্য কয়েকটি জেলা, এমনকি এই পশ্চিম মেদিনীপুরেও কেশিয়াড়ি সহ একাধিক ব্লকে কোয়রান্টিন সেন্টার চালু করতে গিয়ে স্থানীয়দের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র সরতে শুরু করেছে। এক ব্লকের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ‘‘কেন্দ্র সরানো নিয়ে একটা সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাও মানছেন, ‘‘কিছু কোয়রান্টিন সেন্টার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছিল। সেগুলি সরানো হয়েছে। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোয়রান্টিন সেন্টার রাখা হচ্ছে না।’’

Coronavirus West Bengal Quarantine Center
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy