Advertisement
E-Paper

বাঁধে বাড়ছে ফাটল, রাত জাগছে বাড় অমৃতবেড়িয়া

বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন আশ্বাস দিলেও গড়িমসিতে কাজই শুরু হল না এখনও। তার উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা এই কোটাল ও নিম্নচাপ। যা অবস্থা বাঁচতে গেলে নিজেদেরই বাঁধ রক্ষায় নামতে হবে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:০১
ফাটল বেড়ে তলিয়ে যাওয়ার মুখে রাস্তা। ছবি: কেশব মান্না

ফাটল বেড়ে তলিয়ে যাওয়ার মুখে রাস্তা। ছবি: কেশব মান্না

ফাটল তৈরি হয়েছিল আগেই। জেলা প্রশাসন আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি এখনও। তার মধ্যেই অমাবস্যার কোটাল আর তিতলির জোড়া ফলায় প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন মহিষাদলের বাড় অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনিক উদাসীনতার জন্যই রূপনারায়ণের বাঁধের ফাটল মেরামতির কাজ শুরু হয়নি। দিন দশেক আগে নন্দকুমার ব্লকের দনিপুর থেকে বাড় অমৃতবেড়িয়া পর্যন্ত রূপনারায়ণের নদীবাঁধের রাস্তায় মারাত্মক ফাটল দেখা দেয়। ফেরিঘাট থেকে বেলতলা, প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় নদী পাড়ের রাস্তা ধসে গিয়েছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা যে কোনও মুহূর্তে রূপনারায়ণের গর্ভে চলে যাবে পুরো রাস্তা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন আশ্বাস দিলেও গড়িমসিতে কাজই শুরু হল না এখনও। তার উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা এই কোটাল ও নিম্নচাপ। যা অবস্থা বাঁচতে গেলে নিজেদেরই বাঁধ রক্ষায় নামতে হবে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপা পণ্ডার দাবি, হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এখনও চল্লিশটি ত্রিপল পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার কুড়িটি ত্রিপল ওই ফাটলের ভিতরে ঢাকা দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার সকাল থেকে যে ভাবে বৃষ্টি বেড়েছে, তাতে এখনই ত্রিপল দিয়ে এলাকা ঢাকা দিতে না পারা গেলে ফাটল দিয়ে জল গলে পুরো রাস্তাটাই নদীগর্ভে চলে যাবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই এলাকা একাধিকবার ঘুরে গিয়েছেন এইচডিএ এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা। নদীর পাড় বাঁধানোর জন্য টেন্ডারের কাজ শেষ। হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার ও বিভাগীয় কর্তারা খোঁজ রাখছেন। জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার রঘুনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় নদী তীরবর্তী এলাকা সাফাই করে পাড়ে মাটি ফেলা হবে। তারপর বাঁধ মেরামত করা হবে।’’

পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘এইচডিএ এবং সেচ দফতর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আপাতত জলের চাপ যাতে বেশি না হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তবে প্রশাসনের আশ্বাস সত্ত্বেও আগামী কয়েকদিন কী ভাবে কাটবে তা নিয়ে শঙ্কায় এলাকাবাসী।

Amritberia Dam Crack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy