Advertisement
E-Paper

ট্রেনে তাসের আসর, অবাধে ধূমপান!

আসন দখলের পর জমিয়ে শুরু হচ্ছে তাসের আসর। চলন্ত ট্রেনে সিগারেটও ধরাচ্ছেন কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ বহু যাত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪১

রুমাল, খবরের কাগজ, ব্যাগ রেখে পরিচিত সহযাত্রীদের জন্য ট্রেনে আসন আগলাচ্ছেন একাংশ যাত্রী। ভিড় ট্রেনে যেখানে বহু লোক দাঁড়িয়েই রয়েছেন, সেখানে কিছু লোক ট্রেনে উঠেই আগে থেকে রেখে দেওয়া আসনে বসে পড়ছেন। আসন দখলের পর জমিয়ে শুরু হচ্ছে তাসের আসর। চলন্ত ট্রেনে সিগারেটও ধরাচ্ছেন কেউ কেউ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকায় ক্ষুব্ধ বহু যাত্রী।

রেলের বিধি অনুযায়ী, ট্রেনের অসংরক্ষিত আসনে আগে থেকে আসন দখল করা যায় না। সেই সঙ্গে ট্রেনের ভিতরে সিগারেট খাওয়াও দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনকী তাসখেলা, কুরুচিকর মন্তব্য করা-সহ যাত্রীদের আচরণে যদি কোনও সহযাত্রী হেনস্থার শিকার হন তবে রেল কর্তৃপক্ষ আইনানুগ পদক্ষেপ করেন।

তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই মেদিনীপুর-হাওড়া শাখায় অবাধে চলন্ত ট্রেনেই তাসের আসর বসে বলে অভিযোগ। সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষার কথা বলারও অভিযোগ উঠছে একাংশ যাত্রীর বিরুদ্ধে।

শুধু লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন নয়, অনেক সুপারফাস্ট ট্রেনেও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্যোশাল মিডিয়ায়।

যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়মবিরুদ্ধ এ সব ঘটনা দেখেও মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অভিযোগ, দিন তিনেক আগেই পুরুলিয়া এক্সপ্রেসে এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন খড়্গপুরের বাসিন্দা অরিন্দম বসু। অরিন্দমবাবুর অভিযোগ, “প্রায় প্রতিটি ট্রেনে নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটতে দেখছি। পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের শেষের দিকে দ্বিতীয় কামরায় আসন দখল করে ধূমপান, তাস খেলা চলছিল। আমি প্রতিবাদ করলে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। ঘটনার ছবি তুলে রেলের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছি। কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গিয়েছে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রেল।”

রেলের দাবি, রেলের প্রতিটি শাখায় নিয়মিত অভিযান চলে। যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফের সামনেই এমন ঘটনা ঘটলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আরপিএফ হেল্পলাইন ১৮২ নম্বরে ফোন করেও প্রতিকার মিলছে না।

খড়্গপুরে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কুলদীপ তিওয়ারি বলছেন, “পুরুলিয়ায় আদ্রা ডিভিশনের কর্মীরা থাকেন। তবে এমন ঘটনা কখনই বরদাস্ত করা হবে না। আমরা এ বার অতর্কিতে ট্রেনে হানা দেব।” খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার অশোককুমার রায় বলেন, “আমি ছুটিতে রয়েছে। ছুটি থেকে ফিরেই এ নিয়ে পদক্ষেপ করব।”

Train Smoking Daily Passengers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy