Advertisement
E-Paper

পড়শির বাড়িতে যুবকের দেহ, খুনের অভিযোগ

এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকোনা থানার মাড় গ্রাম সংলগ্ন মহেশপুরে পড়শি শীর্ষেন্দু কোয়াড়ীর বাড়ি থেকে অয়ন বক্সী (২৫) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০১:৩৮

এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকোনা থানার মাড় গ্রাম সংলগ্ন মহেশপুরে পড়শি শীর্ষেন্দু কোয়াড়ীর বাড়ি থেকে অয়ন বক্সী (২৫) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শীর্ষেন্দুবাবুর স্ত্রীর সঙ্গে অয়নের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরে আগে থেকেই অয়নের সঙ্গে শীর্ষেন্দুবাবুর বাড়ির গণ্ডগোল চলছিল। মৃতের বাবা নেপাল বক্সীর অভিযোগ, “ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছি।” অভিযোগের ভিত্তিতে শীর্ষেন্দু, তাঁর মা শিপ্রাদেবী ও স্ত্রী স্মৃতিকণাদেবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন ক্ষীরপাই শহরে একটি মোবাইল দোকানে কাজ করতেন। দীর্ঘদিন ধরে অয়নের সঙ্গে পড়শি শীর্ষেন্দুবাবুর স্ত্রী স্মৃতিকণাদেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। এ নিয়ে পেশায় শীর্ষেন্দুবাবুর সঙ্গে অয়নের মারামারির ঘটনাও ঘটে। বিষয়টি নিয়ে শীর্ষেন্দুবাবু পুলিশে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও অয়ন ও স্মৃতিকণাদেবীকে এই সম্পর্ক থেকে সরে আসার কথা বলে। স্মৃতিকণাদেবীর বাবা বিকাশ চট্টোপাধ্যায়ও মেয়েকে বহু বার সাবধান করেন। তারপরেও সমস্যা না মেটায় স্ত্রীর সঙ্গে শীর্ষেন্দুবাবুর অশান্তি লেগেই ছিল।

বৃহস্পতিবার মহেশপুর গ্রামে অষ্টম প্রহরের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন স্থানীয়রা। অয়নের পরিবার সূত্রে খবর, অয়নবাবু রাত ১২টার সময় বাড়ি ঢোকেন। রাতের খাওয়া শেষে একাই শুয়ে পড়েন অয়ন। অয়নের ভাই অনিমেষ বক্সীর কথায়, “রাত দু’টো নাগাদ সময় পাড়ার লোকজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। দরজা খুলে দেখি দাদার ঘরের দরজা খোলা। তখন বাইরে বেরিয়ে এসে শুনতে পাই, পাশের বাড়ি থেকে দাদার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাতে শীর্ষেন্দুবাবুর মা শিপ্রাদেবী চিৎকার করে পাড়ার লোকেদের ডাকাডাকি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “রাতে চিৎকার করে শীর্ষেন্দুর মা ডাকাডাকি করে। ওদের বাড়িতে অয়নের দেহ উদ্ধারের কথাও জানাজানি হয়। ভোর হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্মৃতিকণাদেবীর বাবা বিকাশবাবু মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, মেয়ের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটার পরেও কেন বিকাশবাবু চলে গেলেন? তদন্তে এ সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিকাশবাবুর নামেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।

dead body police ghatal murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy