Advertisement
০৩ মে ২০২৪

অভাবকে হারিয়ে মুম্বই আইআইটিতে সুযোগ চন্দনের

মুম্বই আইআইটিতে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হলেন ঘাটাল থানার আনন্দপুর গ্রামের চন্দন রায়। ঘাটাল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম মনসুকা সংলগ্ন আনন্দপুর গ্রামের যুবক চন্দন এ বার আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৩১৪ স্থান পেয়েছে।

চন্দন রায়। — নিজস্ব চিত্র।

চন্দন রায়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৮
Share: Save:

মুম্বই আইআইটিতে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হলেন ঘাটাল থানার আনন্দপুর গ্রামের চন্দন রায়।

ঘাটাল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম মনসুকা সংলগ্ন আনন্দপুর গ্রামের যুবক চন্দন এ বার আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৩১৪ স্থান পেয়েছে। গত অগস্টে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই চন্দন মুম্বই আইআইটি তে গিয়ে ভর্তিও হয়েছেন। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে আইআইটি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু। তার আগে ১৭ অক্টোবর রাজ্যপাল এবং ২২ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা‌য় চন্দনকে সংবর্ধনা দেবেন।

আনন্দপুর গ্রামের চন্দন পঞ্চম শ্রেণি থেকে হুগলির খানাকুলের কিশোরপুর হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করতেন। ছোট থেকে অভাব ছিল সঙ্গী। তাঁর বাবা সুচিন্ত্য রায়ের মুদিখানার দোকান রয়েছে। পড়ার ফাঁকে সময় পেলে বাবাকে কাজে সাহায্যও করতেন চন্দন। তাঁর সাফল্যে খুশি আনন্দপুর গ্রামের পড়শিরাও। খুশি কিশোরপুর হাইস্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী থেকে চন্দনের বন্ধুরাও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার দে বলেন, “আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেশে ৩১৪ তম স্থান দখল করে চন্দন শুধু গ্রামের মান বাড়ায়নি, স্কুলের মুখও উজ্জ্বল করেছে।’’

চন্দনের কথায়, “মুম্বই যাওয়ার আগে ওই বিভাগে ভর্তির জন্য ১ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকাও আমাদের কাছে ছিল না। বাবা অর্ধেক টাকা জোগাড় করেছিলেন। পড়ার জন্য মায়ের গয়না বিক্রিও করতে হয়েছে। শেষে স্কুল শিক্ষকরা বাকি টাকা জোগাড় করে দেন।’’ তবে এখনও চিন্তা কাটেনি চন্দনের বাবা-মায়ের। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার থেকে ছেলের পড়ার খরচ কোথা থেকে আসবে বুঝতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mumbai IIT
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE