Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
CPM

CPM: হাসপাতালের মেঝেয় রাত কাবার! ‘বলেকয়ে’ বেড পেলেন বিনপুরের প্রাক্তন বাম বিধায়ক

অস্ত্রোপচার করাতে রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় দিবাকরকে। তাঁর ঠাঁই হয় মেঝেয়। পর দিন বেড পান তিনি।

বাঁ দিকে রবিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় হাসপতালের মেঝেয় দিবাকর হাঁসদা।ডান দিকে, সোমবার তখন বেড পেয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক।

বাঁ দিকে রবিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় হাসপতালের মেঝেয় দিবাকর হাঁসদা।ডান দিকে, সোমবার তখন বেড পেয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিনপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ১৪:৪০
Share: Save:

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মেঝেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানোর পর অবশেষে বেড পেলেন বিনপুরের প্রাক্তন বাম বিধায়ক দিবাকর হাঁসদা। রবিবার রাতে ওই হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয় গলব্লাডারে অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু ভর্তি করানোর পর বেড না থাকায় মেঝেতে ঠাঁই হয় তাঁর।

গলব্লাডারে অস্ত্রোপচার করাতে চিকিৎসকদের পরামর্শে রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় দিবাকরকে। এক সময়ে এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা দিবাকরের এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘যখন ওঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করি তখন বলা হয়, ‘বেড নেই। মেঝেতে জায়গা করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।’ অগত্যা বাইরে থেকে একটি প্লাস্টিকের চাদর কিনে আনা হয়। হাসপাতাল থেকেও কোনও চাদর বা গদি দেওয়া হয়নি। সেখানেই ওঁর চিকিৎসা শুরু হয়।’’

বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল। এর পর তাঁরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বেডের ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে বেড পেয়েছেন দিবাকর। প্রাক্তন ওই বাম বিধায়কের বক্তব্য, ‘‘২৬ তারিখে ভর্তি হওয়ার পর তেমন ভাবে কোনও বেড পাইনি। তখন আমি ফেসবুকে লেখালিখি করেছিলাম। তার পর জানাজানি হওয়ার পর গতকাল বেড পাই। আমি নিজে কি বলব, আমি প্রাক্তন বিধায়ক?’’ ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত দিবাকর বিনপুরের বিধায়ক ছিলেন।

দিবাকরের অভিযোগ মেনে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না। উনি পরিচয় দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা করে দেওয়া হত। যখন পরিচয় জানতে পারা গিয়েছে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা তখনই বেডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’’ তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভিআইপি বেড বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী জেলা সফরে এলে তখন ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর যুক্তি, মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় হাসপাতালে রোগীর চাপও অনেক বেশি।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘এটা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। উনি প্রাক্তন বিধায়ক হিসাবে পরিচয় দিলে নিশ্চয় ব্যবস্থা করা হত। তবে যখন পরিচয় জানা গিয়েছে, তখনই বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM TMC MLA Binpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE