কাঁথি স্টেশনে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র keshabmanna23@gmail.com
কেন্দ্রের ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পে জেলার একাধিক স্টেশনের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে কাঁথি স্টেশনকে যুক্ত করে পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি এ জন্য দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম কে আর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে লিখিত আকারে প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে স্টেশনের পার্শ্ববর্তী কাঁথি-৩ ব্লকের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ আরও সহজ করে তোলার জন্য আন্ডারপাস গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
খাতায়-কলমে তমলুকের সাংসদ হলেও দিব্যেন্দু কাঁথির বাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার তিনি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে দেখা করেন। ওই দিন দিঘা- তমলুক রেললাইনের পরিদর্শন করেন ডিআরএম। প্রথমে তমলুক স্টেশন এবং তারপর নন্দকুমার স্টেশন দেখে তিনি কাঁথি যান। সেখানে সাংসদ দিব্যেন্দুর সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করেন। সঙ্গী ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একাধিক ইঞ্জিনিয়ার ও বিভাগীয় আধিকারিকেরা। পরে ডিআরএম রামনগর এবং দিঘা রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।
রেল সূত্রের খবর, ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠক কালে একটি লিখিত প্রস্তাব দেন দিব্যেন্দু। সেখানে কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণ, তমলুক-হলদিয়া রেল লাইনে দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন এরপর বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে গোটা প্লাটফর্ম এবং স্টেশন সংলগ্ন যে এলাকায় আন্ডারপাস তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গাটি পরিদর্শন করেন।
দীর্ঘদিন ধরে থমকে রয়েছে দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্প। সম্প্রতি অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। লোকসভা ভোটের আগে ওই কাজ চালু করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান স্থানীয় সাংসদ। কাঁথি স্টেশনের উন্নয়ন প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু বলছেন, ‘‘এবারে অনেকগুলি প্রকল্পের প্রস্তাব জানিয়েছি। হলদিয়াতে আরও দূরপাল্লার ট্রেন বাড়ানোর কথা বলেছি। অমৃত ভারত প্রকল্পে কাঁথি স্টেশনকে যুক্ত আর আন্ডারপাসের দাবি জানিয়েছি।’’ ওই সব প্রস্তাব প্রসঙ্গে খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম কে আর চৌধুরী বলছেন, ‘‘দিঘা- তমলুক রেললাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নিয়মিত এই রেললাইন পরিদর্শন করা হয়। এবার পরিদর্শনের সময়ে কাঁথি স্টেশনের আধুনিকীকরণ এবং আন্ডারপাস নির্মাণ সহ অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আমরা সেগুলি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy