Advertisement
২৭ জুলাই ২০২৪
Dilip Ghosh

‘এই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না’! হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও সেখানে যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনুষ্ঠানের আগে এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ বিবৃতিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

দিলীপ ঘোষ।

দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:১৮
Share: Save:

প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুষ্ঠান এক প্রকার বয়কটই করেছে বিজেপি। এ বার রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানকে ‘নাটক’ বলে বর্ণনা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল ‘অন্যের বুদ্ধি’তে পরিচালিত হচ্ছেন! রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি চান, নতুন রাজ্যপাল যাতে ওই পদের গরিমা বজায় রেখেই কাজ করেন। দিলীপের মন্তব্যের সমালোচনা করেছে শাসকদল তৃণমূল।

শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সামনে রেখে রাজভবনে রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকা সত্ত্বেও সেখানে যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনুষ্ঠানের আগে এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ বিবৃতিও দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেছেন, করদাতাদের টাকায় এমন একটি ‘অযাচিত এবং হাস্যকর’ মুহূর্তের সাক্ষী তিনি হতে চান না। ওই অনুষ্ঠান রাজ্যপালের আসন এবং রাজভবনের মর্যাদাকে বাড়াবে না বলেই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা। তা নিয়ে বিতর্কের আবহে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে দিলীপ বলেন, ‘‘কে কোথায় যাবে, তা অন্য বিষয়। তবে আমার মনে হয়, এই ধরনের ড্রামা করা রাজ্যপালের শোভা পায় না। অন্যের বুদ্ধিতে উনি পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পথ সাংবিধানিক পদ। এ সব ছোটখাটো বিষয়ের ভিতরে না যাওয়াই উচিত।’’

পাশাপাশিই, দিলীপ বলেন, ‘‘আমি চাইব, রাজ্যপাল পদের গরিমা যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে উনি সচেতন। উনি যথেষ্ট বিদ্বান ব্যক্তি। আমরা আশা করব, আগামী দিনে উনি যাতে সেই রকমই ব্যবহার করেন। কেউ যাতে প্রশ্ন করতে না পারেন।’’

‘আনন্দ-অনুষ্ঠানে’ শুভেন্দুদের না থাকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। শাসকদলের প্রশ্ন, রাজভবনকে দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে না পারার হতাশা থেকেই কি এমন আচরণ করছেন বিজেপি নেতারা? দিলীপের মন্তব্য প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘‘রাজ্যপালের রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত। রাজ্যপাল সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই কাজ করছেন বলে বিজেপির অসুবিধা হচ্ছে। বাংলার বিরুদ্ধে কথা বললেই বিজেপির কাছে ভাল। আর না বললেই খারাপ।’’ ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের শিক্ষার কোনও শেষ নেই। রাজ্যপাল বাংলায় এসেছেন, বাংলা শিখতে চেয়েছেন। জানার এবং বলার ইচ্ছে রয়েছে, এতে সমস্যা কোথায়? এর আগেও বাংলায় এসে বিজেপি নেতারা বাংলা শিখেছেন। এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dilip Ghosh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE