বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক বৃদ্ধ। বুধবার রাতে ডেবরার বাসিন্দা বছর ষাটের শেখ জিয়াসুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা ভাল করে হাঁটতে পারেন না। অভিযোগ, বছর খানেক আগে থেকেই পাশের গ্রামের বাসিন্দা জিয়াসুদ্দিনের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাস ছ’য়েক আগে ধরে জিয়াসুদ্দিন সহবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। গত ২৭ মে ওই মহিলার বৌদি দু’জনকে একসঙ্গে দেখে ফেলেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দিন পনেরো আগে ওই গ্রামে সালিশি ডাকা হয়। অভিযোগ, সেখানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও জিয়াসুদ্দিন সেই টাকা দিচ্ছিল না। এরপরে গ্রামের লোকেদের পরামর্শে ওই মহিলা বুধবার থানায় অভিযোগ জানান। বৃহস্পতিবার ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
ওই প্রতিবন্ধী মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ জানান বলে গ্রামবাসীদের দাবি। ওই মহিলার অভিযোগ, “জিয়াসুদ্দিন আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। সবকিছু জানাজানি হওয়ার পর ও আমাকে বিয়ে করবে না বলেছে। আমি ওর শাস্তি চাই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘জিয়াসুদ্দিন আমার থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই টাকাও দেয়নি।’’ স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজাদের দাবি, “জিয়াসুদ্দিনের সঙ্গে এই মেয়েটির দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। জিয়াসুদ্দিন ওই মহিলার প্রতিবন্ধী ভাতার জমানো টাকা নিয়েও ফেরত দিচ্ছিল না। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ জানাজানি হওয়ার পর গ্রামে সালিশি বসেছিল। সেখানে জিয়াসুদ্দিন জরিমানার টাকা না দেওয়ায় মহিলা অভিযোগ করেছে।”
ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের মামলা রুজু করে ডেবরা থানার পুলিশ। ওই দিন রাতেই জিয়াসুদ্দিন গ্রেফতার হন। পঞ্চায়েত উপ-প্রধান আশরফ আলি বলেন, “এই ঘটনা বরদাস্ত করি না। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy