অস্বাস্থ্যকর: পাইপ ফেটে পানীয় জল মিশছে আবর্জনায়। নিজস্ব চিত্র
ফেটে গিয়েছে পানীয় জলের পাইপ। ফাটা পাইপের জল মিশছে আবর্জনার সঙ্গে। জঞ্জালের দূষিত জলও মিশছে পানীয় জলের সঙ্গে। এর জেরে খড়্গপুরের ইন্দায় টাইমকল খুললেই নোংরা জল পড়ছে বলে অভিযোগ। সমস্যার কথা একাধিকবার জানানোর পরও পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ইন্দার রাস্তা দিয়েই গিয়েছে জল সরবরাহের মূল পাইপলাইন। কমলাকেবিনের কাছে বাড়ি-বাড়ি সংযোগের জন্য ওই পাইপ লাইন ভাগ হয়ে গিয়েছে। আর এই একাধিক পাইপের সংযোগস্থলেই দিন কয়েক ধরে পাইপ ফেটে গিয়েছে। ফাটা পাইপ দিয়ে জল বেরিয়ে আসছে মাটির উপরে। সেখানে ভ্যাটে আবর্জনার সঙ্গে মিশছে জল। নোংরা জলও ঢুকছে পাইপে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা বধূ মৌসুমী সরকারের অভিযোগ, “ওই পাইপ লাইনের মাধ্যমেই আমাদের এলাকায় জল আসে। বাড়িতেও ওই জলই ব্যবহার করি। বেশ কয়েকদিন ধরেই জলে দুর্গন্ধ পাচ্ছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এ ভাবে দুষিত জল পান করলে রোগের আশঙ্কা করছি। এলাকার লোক বারবার পাইপে ফাটল মেরামতির দাবি জানালেও কাজ হয়নি। অবিলম্বে পুরসভার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
স্থানীয় ২৩ নম্বর ওর্য়াডের কংগ্রেস কাউন্সিলর অপর্ণা ঘোষ বলেন, “আমি নিজে পুরসভার জল বিষয়ক পুর-পারিষদকে বহুদিন ধরে পাইপলাইন মেরামতির জন্য বলেছি। কারও কোনও হেলদোল নেই। এ বার পুরসভায় গিয়ে বিষয়টি পুরপ্রধানকে জানাব।” যদিও এ নিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “এ নিয়ে আমি নিশ্চয় ব্যবস্থা নেব। জলের বিষয়টি জল বিষয়ক পুর-পারিষদ দেখেন। কেউ সমস্যার কথা জানিয়ে থাকলে ওঁর দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত।”
শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু ইন্দা নয়, শহরের একাধিক জায়গায় পানীয় জলের পাইপ ফেটে দূষণ ছড়়াচ্ছে। সমস্যা রয়েছে রাজগ্রাম, খরিদা, পাঁচবেড়িয়া, সুভাষপল্লি, মালঞ্চ এলাকায়। এ বিষয়ে জল বিষয়ক পুর-পারিষদ তৈমুর আলি খান বলেন, “এটা ঠিক বিভিন্ন এলাকায় অনেক সময় এ ধরনের সমস্যা হয়। ইন্দায় সমস্যার কথা স্থানীয় বাসিন্দারা আমাকে জানানোর পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’’ তিনি বলছেন, ‘‘আসলে আমাদের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপলাইন মিশে থাকায় কোন ঠিকাদার কাজ করবে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সেই কারণেই সমস্যা সমাধানে সময় লেগে যায়। ইন্দার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy