বিক্ষোভের মুখে আগের দিন ফিরে গিয়েছিল বুলডোজার। তবে বৃহস্পতিবার আর বুলডোজার ফেরাল না পুরসভা। এগরা শহরে ভাঙা হল ফুটপাত দখল করে থাকা দোকান।
মাস খানেক আগে এগরা পুরসভার তরফে ফুটপাত দখলকারী হকারদের সরে যাওয়ার নোটিস দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক ও পুরপ্রধান রাস্তায় নেমে হকারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে অনেকেই সরে যাননি। এর পরে গত বুধবার পুরসভার তরফে বুলডোজারা নিয়ে গিয়ে হকার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তবে হকারদের বিক্ষোভ সেদিন পিছু হটে পুলিশ ও প্রশাসন। এর পরে এ দিন বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ মোতায়েন করে বুলডোজার দিয়ে ফুটপাতে বেআইনি দোকান ভাঙা হয়এ দিন এগরার ত্রিকোণ পার্ক থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় পুরপ্রধান ও মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতে পুরসভার কর্মীরা বেআইনি দোকান ও গুমটি ভাঙার কাজ শুরু করেন। পরে তিনটি বুলডোজার আনা হয়।
কেউ কেউ তাড়াহুড়ো করে কেউ নিজেদের দোকানে সামগ্রী সারাতে সক্ষম হন। তবে অনেকেই অসহায় অবস্থায় দোকান ভেঙে যেতে দেখেন। ত্রিকোণ পার্ক থেকে দিঘা মোড় এবং দিঘা মোড় থেকে খড়গপুর বাসস্ট্যান্ডে পর্যন্ত সমস্ত বেআইনি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকে হকার ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে, পায়ে ধরলেও বুলডোজার থামেনি। উচ্ছেদ হওয়া হকার নারায়ণ বেরা, কবিতা বেরা, নন্দ দে-রা বলছেন, ‘‘পুনর্বাসন না দিয়ে গরিবদের রুটিরুজি কেড়ে নিল। এখন আমরা খাব কী? পুরসভায় বাজারে দোকান নিতে হলে হাজার হাজার টাকা আমাদের মতো গরিবরা কোথায় পাব?’’শুক্রবারের মধ্যে দোকানে ভাঙা সামগ্রী হকারদের সরানোর সময় দিয়েছে পুরসভা। নচেৎ পুরসভা তরফে ফুটপাত পরিষ্কার করে দেওয়া হবে বলে দাবি। এগরার পুরপ্রধান স্বপন নায়ক বলেন, ‘‘একমাস আগে নোটিস দিয়ে ফুটপাতে বেআইনি হকারদের সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)