Advertisement
E-Paper

ভেদাকুইয়ে বিদ্যুৎ এল দু’সপ্তাহ পরে

বাজ পড়ে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় টানা দু’সপ্তাহ গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দফতরে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুফল পাননি বেলপাহাড়ির ভেদাকুই গ্রামের বাসিন্দারা। তবে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে সংস্থার এক কর্তা আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০১:০৬
ভেদাকুই গ্রামে নতুন ট্রান্সফর্মার বসাচ্ছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।

ভেদাকুই গ্রামে নতুন ট্রান্সফর্মার বসাচ্ছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। — নিজস্ব চিত্র।

বাজ পড়ে ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় টানা দু’সপ্তাহ গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দফতরে বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুফল পাননি বেলপাহাড়ির ভেদাকুই গ্রামের বাসিন্দারা। তবে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে সংস্থার এক কর্তা আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কথা রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। ভেদাকুই গ্রামে বসেছে ২৫ কেভির নতুন ট্রান্সফর্মার।

ভেদাকুই গ্রামে দেড়শো পরিবারের বাস। গত ১৪ জুন বাজ পড়ে গ্রামের ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মারটি পুড়ে যায়। পরদিনই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বেলপাহাড়ি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানান বাসিন্দারা। কিন্তু ১৫ দিন পরেও নতুন ট্রান্সফর্মার বসানো হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের বেশ কয়েকজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে এই অজুহাতে বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে নতুন ট্রান্সফর্মার বসাতে গড়িমসি করছিলেন। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রান্সফর্মার মজুত না-থাকার জন্যই বিলম্ব হচ্ছিল।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেদাকুই গ্রামে মোট ৭৮ জন গ্রাহকের মধ্যে ৫২ জনেরই দীর্ঘ কয়েক মাসের বিল বকেয়া রয়েছে। অর্থাৎ মোট ৬৬ হাজার ৭৮১ টাকা। বাসিন্দারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন, দফতর নিয়মিত বিল পাঠায় না। একসঙ্গে অনেক টাকার বিল আসে। সে জন্যই গরিব পরিবারগুলি সময়মতো বিল মেটাতে পারে না। তাঁদের দাবি, এ জন্য তো খেলাপি গ্রাহকদের কাছে নোটিসও পাঠানো হয়নি।

স্থানীয় কল্যাণ মাহাতো, প্রদ্যোত মাহাতোরা জানালেন, শুক্রবার সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের পরই সকাল ১১টা নাগাদ নতুন ট্রান্সফর্মার নিয়ে গ্রামে পৌঁছন সংস্থার কর্মীরা। আধ ঘন্টার মধ্যে মধ্যে সংযোগ চালু করে দেওয়া হয়। বণ্টন সংস্থার ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার (ইলেকট্রিক্যাল) উজ্জ্বল রায় বলেন, “বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য গ্রাহকদেরও নিয়মিত বিলের টাকা মেটানোর জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”

transformer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy