Advertisement
E-Paper

এসআই অফিসের সামনে ইভটিজিং, প্রশ্নে নিরাপত্তা

এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মাস খানেক আগে কয়েকজন ছাত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছিল এই মহিষাদলেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৬ ০০:২৫
এখানেই ওই কিশোরীকে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ।

এখানেই ওই কিশোরীকে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ।

এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মাস খানেক আগে কয়েকজন ছাত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছিল এই মহিষাদলেই।

এ বার সেই একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি। টিউশনি পড়ে ফেরার পথে শনিবারই এক কিশোরীকে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। তবে ওই কিশোরী এ ক্ষেত্রেও কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। ওই কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় শনিবারই আটক করা হয়েছিল তিন যুবককে। পরে পুলিশ সুয়োমুটো মামলা দায়ের ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে। রবিবার এই তিন যুবককে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘পুলিশ সুয়োমোটো মামলা করে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। বাকি দু’জনকে ধরতে তল্লাশি চলছে।’’

কিন্তু এমন ঘটনা কেন বারবার ঘটছে কেন? আবার শনিবার যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেই এলাকাটা মহিষাদলের সার্কেল ইনস্পেক্টর অফিসের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। ফলে শনিবার দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ইভটিজিংয়ের ঘটনার পর এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে
শুরু করেছে। এই পাঁচ যুবকের বাড়ি নন্দকুমারের মাধবপুর এলাকায়। গণেশ দাস, সুরজিৎ দাস, তপন বেরাকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। কিন্তু উত্তম দাস এবং মদনমোহন দিন্দা এখনও অধরা।

স্থানীয় বাসিন্দা তপন জানা, সুব্রত দাস, অনিমা পাত্রদের অভিযোগ, “বছর খানেক আগেও কিন্তু ছবিটা এরকম ছিল না। পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়নি। এই ঘটনার পরও দু’টো ছেলেকে ধরতেই পারল না পুলিশ। এটাই আশ্চর্যের।’’

মহিষাদলের রথতলা এলাকাটি ব্যস্ততম এলাকা। এই এলাকার একদিকে বাজার দোকান রয়েছে। অন্য দিকে একটি সোজা রাস্তা গাড়ুঘাটার দিকে গিয়েছে। রাস্তার দু’ধারে জনবসতি রয়েছে। ক্লাব, সার্কেল ইনস্পেক্টরের অফিস, মন্দিরও এখানে রয়েছে। গোটা রাস্তাটায় নতুন এলইডি পথবাতিও লাগানো রয়েছে। রাস্তা দিয়ে সারাদিন ম্যাজিক ভ্যান, ট্রেকার, সাইকেল ভ্যান যাতায়াত করে। এলাকায় একটি মদের দোকানও রয়েছে। ঘটনার দিন ওই মদের দোকান থেকে পাঁচ যুবক মদ কিনেছিল বলে খবর। পাশাপাশি তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিলক চক্রবর্তী জানান, “রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বারবার এমন ঘটনা কেন এখানে ঘটছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।”

Mahishadal Eve Teasing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy