Advertisement
E-Paper

করোনা-যুদ্ধে আগাম সতর্ক, ঘুম ছুটছে মেডিক্যালের 

ওই মারণভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত এক ব্লকের এক যুবককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে  পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৭
তৎপরতা শুরু মেদিনীপুর মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র

তৎপরতা শুরু মেদিনীপুর মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পশ্চিম মেদিনীপুরের যোগ মিলেছে ইতিমধ্যে। ওই মারণভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন সন্দেহে খড়্গপুর মহকুমার অন্তর্গত এক ব্লকের এক যুবককে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবক কর্মসূত্রে চিনে ছিলেন। যুবকটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে জেলায় যদি সত্যিই করোনাভাইরাস থাবা বসায় তাহলে আক্রান্তের চিকিৎসার ব্যবস্থা কোথায় হবে, সেই প্রশ্নে তোলপাড় জেলার স্বাস্থ্য মহল।

মেদিনীপুর মেডিক্যালেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো এখনও নেই। মেডিক্যালের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘জেলার কেউ কখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। ফলে, এতদিন এই পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন হয়নি।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, ‘‘এ বার ওই রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। অন্তত প্রাথমিক চিকিৎসা যাতে এখানেই করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।’’

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এই পরিকাঠামো তৈরির চেষ্টা চলছে মেডিক্যালে। সোমবার বিকেলে সেই নিয়ে এক বৈঠকও হয়েছে মেডিক্যালের সভাঘরে। ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, জেলার উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু প্রমুখ। পঞ্চাননবাবু জানান, কী কী পরিকাঠামো প্রয়োজন বৈঠকে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবুও বলেন, ‘‘জেলার কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আক্রান্তের চিকিৎসা যাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে করা যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’

মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য পৃথক ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ খোলা হবে। এই ওয়ার্ডে অন্তত ৩টি শয্যা রাখা হবে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক, বিশেষ জ্যাকেট, পার্সোনাল প্রোটেকটেড ইকুইপমেন্ট (পিপিই), আলাদা পোর্টেবল ভেন্টিলেটর কেনা হবে। মেডিক্যালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে চলতি সপ্তাহেই প্রশিক্ষণ শিবির হবে। সেখানে করোনার উপসর্গ কী, কী ভাবেই বা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব, চিকিৎসার সময়ে কোন দিকে খেয়াল রাখতে হবে, সে সব নিয়েই আলোচনা হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে তৈরি হবে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ (কিউআরটি)। মেডিক্যালের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সারা শরীর ঢাকা বিশেষ পোশাক চাই। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর জন্য ব্যবহৃত ভেন্টিলেটরও অন্য রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার উচিত নয়। সব পরিকাঠামো গড়েই নতুন ওয়ার্ড হবে।’’

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলার বাসিন্দা ওই যুবকের পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত আসেনি। সেই সূত্রেই জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, ‘‘জেলার কারও ওই ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে বলে এখনও কোনও খবর নেই। নতুন করে সন্দেহভাজন হিসেবেও কেউ চিহ্নিত হননি। তাই করোনাভাইরাস নিয়ে এখন অযথা আতঙ্কের কিছু নেই।’’

CoronaVirus Medinipore medical college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy