এ বার ভুয়ো চিকিৎসক ধরা পড়ল কাঁথি আদালত চত্বরে। সোমবার একটি খুনের চেষ্টার মামলায় চিকিৎসক হিসেবে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন রমেশ কুমার জানা নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি হাওড়ার উলুবেড়িয়া স্টেশন রোডে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ভগবানপুর থানায় একটি খুনের চেষ্টার মামলা হয়। ওই মামলার অন্যতম অভিযোগকারী গৃহবধূ কাজল মাইতি। কাজলদেবীকে উলুবেড়িয়ার একটি চেম্বারে চিকিৎসা করে রিপোর্ট দিয়েছিলেন রমেশ। সেখানে তিনি আর কে জানা নামে চিকিৎসা করতেন। এদিন কাঁথি আদালতে ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক হারাধন বন্দোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় আইনজীবীদের জেরায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সাধারণ বিষয়ে তিনি ভুল উত্তর দেন বলে অভিযোগ। সাক্ষ্য গ্রহণ হয়ে গেলে আদালত চত্বরে আইনজীবীরা ঘিরে ধরে তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। রমেশবাবু জানান তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪৯৮৫১। কিন্তু তিনি ঠিক বলছেন না বলে সন্দেহ হয় অন্য একটি মামলার সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় মিশ্রর। তিনি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি পরীক্ষা করেন। দেখা যায় সেই নম্বর আর এক চিকিৎসক বিশ্বপতি মুখোপাধ্যায়ের। এরপর রমেশকে জেরা করলে তিনি ভেঙে পড়েন। স্বীকার করেন তিনি ভুয়ো চিকিৎসক।
যে মামলায় রমেশ সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন সেই মামলায় বিরোধী পক্ষের আইনজীবী অমলেন্দু মান্না কাঁথি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ রমেশকে গ্রেফতার করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে না পারায় ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসক হিসাবে ভিজিটিং কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy