Advertisement
২০ মে ২০২৪

শিশুকন্যার নলি কেটে খুন, ফেরার অভিযুক্ত বাবা

আড়াই বছরের মেয়েকে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানার চুনখুলিয়া গ্রামের ঘটনা। শনিবার সকালে বাড়ির শোওয়ার ঘরে অনিন্দিতা মাহাতো নামে ওই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খড়িকামাথানি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অনিন্দিতার বাবা নির্মাল্য মাহাতো।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৬ ০১:৩১
Share: Save:

আড়াই বছরের মেয়েকে গলার নলি কেটে খুনের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানার চুনখুলিয়া গ্রামের ঘটনা।

শনিবার সকালে বাড়ির শোওয়ার ঘরে অনিন্দিতা মাহাতো নামে ওই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। খড়িকামাথানি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অনিন্দিতার বাবা নির্মাল্য মাহাতো। ঘটনার পরে উত্তেজিত বাসিন্দারা নির্মাল্যবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে অনিন্দিতাকে দুধ খাওয়ানোর পরে বাড়ির উঠোনের কলতলায় বাসন মাজছিলেন নির্মাল্যবাবুর স্ত্রী ভবানীদেবী। বাবার পাশেই শুয়েছিল ছোট্ট অনিন্দিতা। কিছুক্ষণ পরে নির্মাল্যবাবু মোটর বাইক নিয়ে বেরিয়ে যান। সাতকসকালে স্বামীকে বেরিয়ে যেতে দেখে অবাক হয়ে যান ভবানীদেবী। শোওয়ার ঘরে গিয়ে অনিন্দিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন তিনি। ভবানীদেবীর বুক ভাঙা কান্না শুনে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ও পড়শিরা ছুটে আসেন।

পুলিশ জানায়, দা দিয়ে গলার নলি কেটে শিশুটির মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয়েছিল। রক্তাক্ত দা’টি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কেন এমন ভাবে খুন করা হল অনিন্দিতাকে? জবাব হাতড়াচ্ছে পুলিশ। উচ্চশিক্ষিত নির্মাল্যবাবু বেকার ছিলেন। এ জন্য মানসিক অবসাদেও ভুগতেন তিনি। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram murdering baby daughter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE