ঘাটালের প্রতাপপুরে প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁধ মেরামতির কাজ সেচ দফতর শেষ করল। শিলাবতী নদীর জল বিপদসীমা না ছাড়ালে নতুন করে সমস্যা হবে না বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। সেচ দফতরের মহকুমা বাস্তুকার উত্তম হাজরা বলেন, “বাঁধ সংস্কারের কাজ চলবে। তবে নতুন বাঁধটি নদীবাঁধের সমান্তরাল করা হবে বর্ষা পুরোপুরি শেষ হওয়ার পর।”
যদিও এরই মধ্যে ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘাটালের পশ্চিম অংশের বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের জল বাড়তে শুরু করে কেঠে, শিলাবতী, কংসাবতী-সহ অন্যান্য নদীতে। ফলে শুক্রবার ঘাটাল পুরসভার দশটি ওয়ার্ড-সহ ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের ৪০-৫০টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলের দখলে চলে গিয়েছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের মনসাতলা চাতালও। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ। নৌকায় যাতায়াত চলছে। ঘাটালের মহকুমা শাসক পিনাকীরঞ্জন প্রধান বলেন, “ফের ঘাটালের কিছু এলাকায় জল ঢুকেছে। তবে ঘাটালের প্রতাপপুরের বাঁধ দিয়ে আর জল ঢোকার সম্ভবনা নেই। ফলে অস্বাভাবিক বৃষ্টি এবং জলাধারগুলি থেকে জল না ছাড়লে ঘাটালের পূবর্পাড় জলমগ্ন হবে না।”
মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত একমাসে অন্তত তিনবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে নাজেহাল অবস্থা মহকুমার মানুষের। উন্নয়নও স্তব্ধ। এমনিতেই টানা বৃষ্টি ও বন্যায় মহকুমায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আনাজ প্রধান দাসপুরেও একই ছবি। এখনও দাসপুরের একাধিক গ্রাম জলে ডুবে। ফলে কাজ পাচ্ছেন না কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরাও। মাথায় হাত চাষিদেরও। অজবনগরের বাসিন্দা অমিয় পাল, উত্তম দলুই বলেন, “বৃষ্টি-বন্যায় এ বার ধান ও আনাজ সব মাঠেই পচে গিয়েছে। কী করে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।” চন্দ্রকোনার মনোহরপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সুকুমার কোলে, সৌগত বেরার বক্তব্য, ‘‘দিনমজুরি করে সংসার চলে। বন্যার ফলে প্রায় একমাস কোনও কাজ নেই। ধার-দেনা করে সংসার চলছে?”