খড়্গপুর টাউন থানায় জমায়েত প্রতারিতদের। নিজস্ব চিত্র।
মোটর সংস্থার বিজ্ঞাপনে বলা ছিল, অ্যাপ-ক্যাবের জন্য গাড়ি কেনায় বিনিয়োগ করতে হবে আড়াই লক্ষ। বদলে লভ্যাংশ হিসাবে প্রতি মাসে মিলবে ১০ হাজার টাকা। বাকি মুনাফা থেকেই গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, ঋণের কিস্তি, চালকের বেতন-সহ যাবতীয় খরচ করাহবে। মূল টাকার ৪০ শতাংশ কেটে পাঁচ বছর পরে ফেরতের কথাও বলা হয়। যা দেখে লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন অনেকেই। প্রতিশ্রুতি মতো মাসে ১০ হাজার টাকা করে মিলছিলও। কিন্তু বছর তিনেক আগে অতিমারির সময়ে ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই সংস্থার মালিকের খোঁজ না পেয়ে এ বার পুলিশে গেলেন প্রতারিতেরা।
শুক্রবার খড়্গপুর টাউন থানায় আসেন ১০৫ জন বিনিয়োগকারী। ২০১৭ সালে কসবার ওই মোটর সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসেটাকা মিললেও তার পর থেকে আর মেলেনি। গত ২৮ ডিসেম্বর কয়েক কিস্তিতে আসল টাকা ফেরতের কথা বলেন ওই সংস্থার মালিক, বারুইপুরের বাসিন্দা দেবদূত ভট্টাচার্য। তবে সে দিন থেকেই তিনি সপরিবার বেপাত্তা বলে দাবি বিনিয়োগকারীদের। এ দিন দেবদূত ও তাঁর স্ত্রীর পাঁচটি মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সব ক’টি বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy