বর্ষশেষের বাদ্যি প্রায় সকলের মনেই বেজে গিয়েছে। বছর শেষ মানে সেই বছরে ঘটা সকল খারাপেরও অবসান। এরই সঙ্গে নতুন করে সব কিছু শুরু করার এক উদ্যম। নতুন বছরটা ভাল করে কাটানোর ইচ্ছা সকলের মনেই থাকে। বহু মানুষই পুরনো বছরে নিজের মনের কোণে থাকা যে সকল আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে উঠতে পারেননি, সেগুলি নতুন বছরে করবেন বলে ভাবেন। যদিও একটা চাহিদা সকলেরই থাকে, সেটা হল অর্থভাগ্য উন্নত করার তাগিদ। হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে জীবনে নানা সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০২৫-এর শেষেই বা নতুন বছরের শুরুতে বাড়িতে যদি বিশেষ কিছু জিনিস আনা যায়, তা হলে জীবনে সমৃদ্ধি লাভ করা যাবে বলে বিশ্বাস। কী কী আনতে হবে জেনে নিন।
আরও পড়ুন:
বাড়িতে কোন জিনিসগুলি আনবেন?
তামার সূর্য: বছরের শেষেই বাড়িতে একটা তামার তৈরি সূর্য যন্ত্র নিয়ে আসুন। সেটিকে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে রাখুন। মেঝে থেকে সাত ফুট উচ্চতায় এটিকে রাখতে হবে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে স্নানের পর সেটিতে গঙ্গাজল ছেটান ও সিঁদুরের তিলক লাগান।
কুবের মূর্তি: বাড়ির উত্তর দিককে সম্পদের দিক মনে করা হয়। এই দিকে তাই একটা কুবেরের মূর্তি স্থাপন করুন। এতে অর্থাভাব কমবে। বদলে বাড়িতে হু-হু করে অর্থ প্রবেশ করবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন:
রুপোলি রঙের বাটিতে চাল: বাড়ির উত্তর দিকে রুপোলি রঙের বাটিতে চাল রাখলেও ভাল ফল পাওয়া যায়। এটি বাড়িতে অর্থের প্রবাহ নিশ্চিত করে। বছরের প্রথম দিনই রুপোলি রঙের একটি বাটিতে কানা পর্যন্ত ভর্তি করে চাল নিয়ে উত্তর দিকে রেখে দিন। এ ক্ষেত্রে রুপোর বাটি ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভাল হয়, না হলে অ্যালুমিনিয়মের বাটিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লাল-হলুদ কাপড়: টাকা রাখার জায়গাটি লাল বা হলুদ রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁরাও নিজেদের ক্যাশবাক্স লাল বা হলুদ রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। এতে অর্থকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। গয়না রাখার স্থানও লাল বা হলুদ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
রঙিন ফুলগাছ: বাড়িতে রঙিন, সুগন্ধি ফুলগাছ রাখাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। সে সকল নানা ফুলগাছে বাড়িকে সাজিয়ে তুলুন। এতে শুভ শক্তি বাড়ির দিকে আকৃষ্ট হয় বলে মনে করা হয়। লক্ষ্মীর আশীর্বাদ প্রাপ্তি ঘটে।