Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নৈতিক জয়: ভারতী 

সকাল থেকে তাঁর মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভারতী ঘোষ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভারতী ঘোষ। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৫:২৬
Share: Save:

ঘুম থেকে উঠেছিলেন ভোর চারটেয়। তারপর যান পুজো দিতে। সকাল সকাল গণনা কেন্দ্রে পৌঁছে যান বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। নজর রাখছিলেন প্রতি রাউন্ডের ওঠাপড়ার দিকে। সকালের দিকে লড়াই ছিল টানটান। তবে দুপুর গড়াতে পিছিয়ে পড়েন অনেকটাই। তখন ঘাটাল কলেজ ছেড়ে চলে যান দাসপুরের বাড়িতে। তারপর কখনও টিভিতে, কখনও কর্মীদের ফোন করে গণনার খোঁজ নেন।

শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, এ বার গোটা বাংলার চোখ ছিল ঘাটালের দিকে। তৃণমূল প্রার্থী দেবের সঙ্গে প্রচারে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছেন তিনি। গণনার দিনেও এলাকা ছাড়েননি। এ দিন সকালেই নিজের ইলেকশন এজেন্ট এবং দলের আহ্বায়ককে নিয়ে ঘাটাল শহর ঘেঁষা বরদায় বিশালাক্ষী মন্দিরে যান ভারতী। সেখান থেকে ঘাটাল শহরের হনুমান ও কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো সারেন। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যেই পুজো সেরে চলে যান শহরের কোন্নগর এলাকার একটি লজে। সেখান থেকে দলের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে ঢোকেন ঘাটাল কলেজের গণনা কেন্দ্রে ।

সকাল থেকে তাঁর মুখে ছিল তৃপ্তির হাসি। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কেশপুর বিধানসভার ভোট গণনা শুরু হতে অনেকটা পিছিয়ে যান ভারতী। তখন তাঁকে অনেকটাই নিস্প্রভ লাগছিল। গণনা কেন্দ্রে তখনও দেব আসেননি। ভারতী একাই ছিলেন। তার মধ্যেই দলীয় কর্মীদের খোঁজ নিতে ভোলেননি। দলীয় ক্যাম্পে রান্নার খোঁজখবরও রেখেছেন।

দেবের সঙ্গে তাঁর ব্যবধান ২০ হাজার পার করতেই ঘাটাল কলেজ ছাড়েন ভারতী। দুপুর দেড়টায় লক্ষাধিক মার্জিন শুনেও মাথা ঠান্ডা রাখেন বিজেপির হাইপ্রোফাইল প্রার্থী। কোন বিধানসভায় কত লিড, ভোটের শতাংশ কত—খোঁজ নেন সেসবের। নোট রাখেন ডায়েরিতে।

ভারতীর অভিযোগ, ছাপ্পা ভোটে জিতেছে তৃণমূল। আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন জানিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘এটা রাজনৈতিক জয় হতে পারে, তবে নৈতিক জয় নয়। দেব অধিকারীর বদলে ছাপ্পা অধিকারী রাখা উচিত। ছাপ্পা কেমন হয়েছে সেটা কেশপুরের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’’ সৌজন্যের মোড়কেই প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে দিয়েছেন দেব। বলেছেন, ‘‘ভারতীদি আমার চেয়ে অনেকটাই সিনিয়র, তাই সৌজন্যবোধটা রাখতে চাইব! নির্বাচনে উনি যথেষ্ট ভাল লড়াই করেছেন। তবে ঘাটালের মানুষ রায় দিয়েছেন। আমাদের একসঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে। উন্নয়নের কাজে আমার ভারতীদিরও সমর্থন লাগবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE