ঘাটাল কলেজে চলছে ভোট গণনা কেন্দ্রের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।
সব প্রতীক্ষার অবসান। আজ, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ঘাটাল কলেজে মহকুমার পাঁচটি পুরসভাই ভোটের গণনা হবে। ভোট গণনাকে ঘিরে মহকুমা প্রশাসনের সব প্রস্তুতিই সারা। শনিবার রাতেই মহকুমার পাঁচটি পুরসভা ৬০টি আসনের সব ইভিএম মেশিন পৌঁছে গিয়েছিল। মেশিন ঘিরে ছিল সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। ঘাটালের মহকুমাশাসক তথা রির্টানিং অফিসার রাজনবীর সিংহ কাপুর বলেন, “গণনার কাজ যাতে সুষ্ঠ ভাবে হয়-তার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হবে গণনার কাজ।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল বাদে বাকি চারটি পুরসভা-খড়ার, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা ও রামজীবনপুর পুরসভায় ৬টি করে টেবিল ও ঘাটালে ১২টি টেবিলে গণনা হবে। ঘাটাল ও চন্দ্রকোনায় পুরসভায় চার রাউন্ড, রামজীবনপুরে তিন রাউন্ড ও খড়ার ও ক্ষীরপাইয়ে দু’রাউন্ড করে গণনা হবে। ৫টি হলে গণনার জন্য ৭২জন কর্মীকে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও অনান্য অফিসার-সহ পুলিশ-প্রশাসনের পদস্থ কর্তরাও থাকবেন। গণনার জন্য মোট ৩০০ জন পুলিশ ঘাটালে পৌঁছে গিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভি ও ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিশনের নির্দেশে গণনা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢোকাও নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
আর ফল কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে সব দলই। বিরোধীদের দাবি, মানুষের রায় এ বার শাসকদলের প্রতিকূলেই যাবে। বিরোধীদের দাবি, গত কয়েক বছরে তৃণমূলের অত্যাচারে মানুষ ওই দলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। এই একই কারণে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী সিপিএম। বিজেপিও কয়েকটি ওয়ার্ড তাদের অনুকূলেই যাবে বলে ঘোষণা করেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরার দাবি, “রামজীবনপুরে মহাজোটই বোর্ড গঠন করবে-এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর আমরা ঘাটাল পুরসভারও দখল করতে পারি।” এদিকে বিজেপির তুষার মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কয়েকটি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থীরা জিতবেই। আর রামজীবনপুর পুরসভায় তো জোটের অনুকূলেই ভোট পড়েছে।”
ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের সাফ কথা, ‘‘ভোট নিয়ে এতদিন সব বিরোধী দলগুলি নানা অভিযোগ তুলেছিল। ভোট মিটতেই বুঝতে পেরেছে-তাদের সব আশঙ্কাই ভুল। আমরা পাঁচটি পুরসভায় দখল করব-এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy