ভাঙা হচ্ছে পুরনো প্রতীক্ষালয়। নিজস্ব চিত্র।
এতদিনে হুঁশ ফিরল ঘাটাল পুরসভার। শহরের যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি সংস্কারে উদ্যোগী হল ঘাটাল পুরসভা। ইতিমধ্যেই শহরের দু’টি প্রতীক্ষালয় ভাঙার কাজও শুরু হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “বিধায়ক তহবিলের টাকায় শহরের দু’টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় নতুন করে তৈরি হবে। চলতি মাসেই কাজও শেষ হয়ে যাবে।’’ ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেবও তাঁর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় ঘাটাল শহরে একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রীত যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের জন্য টাকা মঞ্জুর করেছেন। দ্রুত কাজও শুরু হবে তারও।
ঘাটাল শহরে চারটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। দু’কিলোমিটারের মধ্যে কুশপাতা, ঘাটাল, পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও ময়রাপুকুর মোড়ে। এই চারটি জায়গাতেই যাত্রীদের ভিড়। তার মধ্যে কুশপাতা এলাকায় যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি তুলনামূলক ভাল হলেও পযার্প্ত জায়গা নেই। বাকি পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ড এবং ময়রাপুকুর স্ট্যান্ডের যাত্রী প্রতিক্ষালয়গুলির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আপাতত এই দু’টি প্রতিক্ষালয়গুলি ভেঙেই নতুন করে তৈরির উদ্যোগ।
শহরে নতুন দু’টি প্রতীক্ষালয় তৈরি শুরু হওয়ায় খুশি শহরের বাসিন্দারা। পুরসভার কাছে বাসিন্দাদের আর্জি, প্রতিক্ষালয়গুলি যাতে ঠিকঠাক নজরদারি চালানো হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজ্ঞাপনে মুখ ঢেকেছে প্রতীক্ষালয়গুলি। এমনকী, সন্ধ্যা নামলেই জুয়া খেলা এবং মদের আসরও বসে প্রতীক্ষালয়গুলিতে। অভিযোগ স্বীকারও করেছেন ঘআটালের পুরপ্রধান। বিভাস ঘোষের কথায়, ‘‘এ বার থেকে কড়া নজরদারি চালানো হবে। কুশপাতা ও কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সমস্ত হোর্ডিং খুলে নেওয়া হবে। আর যে দু’টি নতুন করে তৈরি হবে সেগুলিতেও বিজ্ঞাপন দেওয়া নিষিদ্ধ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy