Advertisement
E-Paper

অ্যাপে টিকিটে জোর জিএমের

সম্প্রতি খড়্গপুর-হাওড়া শাখার রাধামোহনপুর স্টেশনের কাউন্টারে কর্মী না থাকায় টিকিট কাটতে না পেরে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। টিকিট কাটতে এ বার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সচিদানন্দ অগ্রবাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:১১
স্মরণিকা: বই প্রকাশ করছেন রেলকর্তারা। নিজস্ব চিত্র

স্মরণিকা: বই প্রকাশ করছেন রেলকর্তারা। নিজস্ব চিত্র

কর্মীর অভাবে বন্ধ থাকে অনেক টিকিট কাউন্টার। সম্প্রতি খড়্গপুর-হাওড়া শাখার রাধামোহনপুর স্টেশনের কাউন্টারে কর্মী না থাকায় টিকিট কাটতে না পেরে রেল অবরোধ করেন যাত্রীরা। টিকিট কাটতে এ বার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সচিদানন্দ অগ্রবাল।

শুক্রবার দক্ষিণ পূর্ব-রেলের খড়্গপুর-টাটানগর শাখার ৬টি স্টেশন পরিদর্শন করেন জিএম। পরিদর্শন শুরু হয় ঝাড়খণ্ডের রাখামাইনস্‌ স্টেশন দিয়ে। এরপর ঘাটশিলা, ধলভূমগড়, চাকুলিয়া স্টেশন পরিদর্শন সেরে বিকেল ৩ টে নাগাদ ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছন তিনি। ঝাড়গ্রাম স্টেশন পরিদর্শন সেরে ফেরার সময় দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওই দোকানের সামনে থমকে দাঁড়ান জিএম।

পরে খড়্গপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে সচিদানন্দ অগ্রবাল বলেন, “আমাদের বুকিং ক্লার্কের অভাব রয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু এখন তো ক্যাশলেস ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে। তাই আমরা যাত্রীদের বেশি করে স্মার্টফোনে মোবাইল ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহার করতে বলছি।” প্রশ্ন উঠছে, গ্রামগঞ্জে বহু লোকেরই স্মার্টফোন নেই। প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে ফোন থাকলেও তা ব্যবহার করা য়ায় না। তাহলে গ্রামীণ এলাকার স্টেশনের যাত্রীরা কী করবেন? দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “যুগের সঙ্গে সকলকে এগিয়ে চলতে হবে। গ্রামেও এখন বহু মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে।”

রেলের মোবাইল ইউটিএস অ্যাপ নিয়েও যাত্রীদের মধ্যে নানা ক্ষোভ রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে ওই অ্যাপে স্টেশন খুঁজে না পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়। এমনকী অ্যাপের ওয়ালেটে থাকা টাকা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রেও সামলাতে হয় নানা ঝক্কি। এ বিষয়ে জেনারেল ম্যানেজার বলেন, “আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”

রেলের খড়্গপুর রেল ডিভিশনের নানা উন্নয়নের কথা জানান ডিআরএম কে রবিনকুমার রেড্ডি। তিনি জানান, খড়্গপুর রেল স্টেশনে বিকল্প প্রবেশ পথ তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে। স্টেশনের একটি মাত্র প্রবেশপথে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। সেই প্ল্যানে বিকল্প প্রবেশপথ তৈরির প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। খড়্গপুর স্টেশনের পুরনো কিছু ছবি সংবলিত একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করেন জেনারেল ম্যানেজার।

ঝা়ড়গ্রাম স্টেশনেও এ দিন জিএমের সঙ্গে রেল সংক্রান্ত এলাকাবাসীর বিভিন্ন দাবি নিয়ে কথা বলেন সাংসদ উমা সরেন ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালগড়ে রেলপথের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সুকুমারবাবুর প্রশ্নের জবাবে জিএম জানান, লালগড়ে প্রস্তাবিত রেল লাইনের সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এ দিন সমস্ত দাবিগুলি জিএমের হাতে তুলে দেন খড়্গপুর রেল ডিভিশনের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য সোমনাথ চক্রবর্তী।

Application Railway Tickets Ticket Booking
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy