বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম সমাবর্তনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্র।
শুধু সমস্যা নিয়ে ভাবলে হবে না। আত্মবিশ্বাসে ভর করে এগোতে হবে— পড়ুয়াদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘জীবনে ওঠাপড়ার মধ্য দিয়েই এগোতে হয়। লক্ষ্য যেমন আদর্শ ছাড়া ছোঁয়া যায় না, তেমন আদর্শ ছাড়া লক্ষ্য বিপজ্জনক হতে পারে।”
সমাবর্তনে কবি সুবোধ সরকার ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালিকে সান্মানিক ডিলিট দেওয়া হয়। সাম্মানিক ডিএসসি ডিগ্রি দেওয়া হয় পুনের ‘ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’- এর অধিকর্তা অধ্যাপক কে এন গণেশকে। ৮৫ জন গবেষককে পিএইচডি ও ৮০ জন পড়ুয়াকে সোনা ও রুপোর পদক দেওয়া হয়। সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন কলকাতার ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স’- এর অধিকর্তা শান্তনু ভট্টাচার্য। রাজ্যপাল ছাড়াও সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, নিবন্ধক জয়ন্তকিশোর নন্দী প্রমুখ। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ চলা শুরু ১৯৮১ সালে। ১৯৮৬-’৮৭ সালে মাত্র ৬টি বিভাগ নিয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়। এখন সবমিলিয়ে ৩৫টি বিভাগে স্নাতকোত্তর পঠনপাঠন হয়। সঙ্গে রয়েছে দূরশিক্ষা বিভাগ। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, গত পাঁচ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। তাঁর মতে, এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার যেমন মানোন্নয়ন হয়েছে, তেমনই পরিকাঠামোগত উন্নতিও হয়েছে। উপাচার্যেরও প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে গ্রাম দত্তক নেওয়া, ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই, স্মার্ট ক্লাসরুম, পড়ুয়াদের জন্য মোবাইল অ্যাপ, মেটিওরোলজি পার্ক চালুর মতো উন্নয়নমূলক কাজের কথাও উঠে আসে রাজ্যপালের বক্তব্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy