কামাখ্যা-পুরী এক্সপ্রেসে থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই গয়না উদ্ধার করল খড়্গপুর জিআরপি। তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক সোনার দোকানের মালিক।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ধৃতদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন ওরফে নুর আলম সোনার গয়না চুরি করে হাওড়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। এসআরপি (খড়্গপুর জিআরপি) দেবশ্রী সান্যালের নির্দেশে জিআরপি খড়্গপুরের আইসি প্রশান্ত কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ নভেম্বর খড়্গপুর জিআরপিতে অভিযোগ জানান ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা এক মহিলা। তিনি জানান, পুত্রবধূর সাধের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মহিলা। তাঁর হাতে থাকা একটি ব্যাগে ছিল সোনার গয়না (চারটি চেন, চারটি আংটি, চার জোড়া কানের দুল, নোয়া, যার দাম প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা)। ব্যাগে একটি মোবাইলও ছিল।
আরও পড়ুন:
মহিলা অভিযোগ করে জানান, ট্রেনটি খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার কিছু আগেই তাঁর ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। এসআরপি (খড়্গপুর জিআরপি) দেবশ্রী জানান, ওই মহিলার অসাবধানতার কারণে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। ট্রেনের সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়। হাওড়া এলাকায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত নুরকে। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে হাওড়ার বেলিলিয়াস এলাকার একটি সোনার দোকান থেকে বুধবার রাতে উদ্ধার করা হয় সোনার গয়নাগুলি। গ্রেফতার করা হয় দোকানের মালিক ভুবনেশ্বরপ্রসাদ সাহাকে। নুর যাঁর কাছে ওই গয়নাগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন, সেই শঙ্কর শাহকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পেশায় মশলা বিক্রেতা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে।