গলা থেকে গাল পর্যন্ত গভীর ক্ষত। রক্তাক্ত সারা শরীর। ভাড়াবাড়ি থেকে কেশিয়াড়ি বিডিও অফিসের হিসাবরক্ষক তথা হেড ক্লার্কের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে খুন হতে পারেন বিডিও অফিসের হিসাবরক্ষক, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়। ৩৮ বছর বয়স। বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। তবে কর্মসূত্রে তিনি কেশিয়াড়িতে থাকতেন। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ ওই ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে।
সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, সোমবারও অফিসে গিয়েছেন অভষেক। কাজকর্ম করে ভাড়াবাড়িতে ফিরেছেন। তার পরে কী হল, কেউ জানেন না। কেশিয়াড়ি বিডিও অফিসের এক কর্মীর কথায়, ‘‘সোমবারও অফিস করেছিলেন উনি। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে খবর পেলাম ওঁকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ভাড়াবাড়িতে! আমরা হতবাক এবং আতঙ্কিত।’’
আরও পড়ুন:
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে অভিষেককে। তদন্তের স্বার্থে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য দিকে, এই মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। কেশিয়াড়ি বিডিও অফিসের কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।