Advertisement
E-Paper

বৈষ্ণব রীতিতে শক্তি আরাধনা মা আনন্দময়ীর

সময়টা বিশের দশকের শেষ। ডাকাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে শক্তি আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন এলাকার পাঁচ উৎসাহী যুবক।

সুব্রত গুহ

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৩০
আনন্দময়ী কালী প্রতিমা। ছবি: সোহম গুহ।

আনন্দময়ী কালী প্রতিমা। ছবি: সোহম গুহ।

সময়টা বিশের দশকের শেষ। ডাকাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে শক্তি আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন এলাকার পাঁচ উৎসাহী যুবক। রামনগরের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাপুঞ্জা মৌজায় বালিয়াড়ির মধ্যে খড়ের আটচালা বানিয়ে শ্যামামূর্তি প্রতিষ্ঠা করে শুরু হল পুজো। সেই শুরু। এ বার কলাপুঞ্জায় শ্যামাপুজো পড়ল ৮৭ বছরে।

লোকশ্রুতি, এই দেবীর কাছে ভক্তিভরে কোন নিবেদন রাখলে তা পূর্ণ হয়। ধীরে ধীরে চারদিকে কল্পতরু শ্যামার কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তজন ‘মা আনন্দময়ী’ নামে তাঁকে ডাকতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এলাকার বাজার ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের নামকরণও হয়েছে মা আনন্দময়ীর নামেই।

বালিয়াড়ির মধ্যে ৮৭ বছর আগে যে আটচালায় পুজো শুরু হয়েছিল দেবীর, সেই আটচালা এখন পাকা মন্দির। মাটির প্রতিমার বদলে পাথরের মাতৃমূর্তি। প্রতিমা এখন আপাদমস্তক স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিতা। মা আনন্দময়ীর মন্দিরে আজও পুজোর দিন দূর-দূরান্ত থেকে অসখ্য মানুষ মনোবাসনা জানাতে আসেন।

মন্দিরের পুরোহিত প্রভাকর মিশ্র জানালেন, “প্রতিদিন মা আনন্দময়ীর নিত্যপুজো হয়। আর কালীপুজোর দিন তো মন্দিরে তিলধারণের জায়গা থাকে না। শক্তি আরাধনা এখানে কোনও প্রাণীকে বলি দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় ফলবলি।” আর পুজোর পর সকলের জন্য বরাদ্দ থাকে দেবীর অন্নভোগ প্রসাদ। মন্দিরের অন্যতম সেবাইত পরিচালক পুলক বড়পন্ডা জানান, আনন্দময়ীর পুজোতে আজও বৈষ্ণব মতেই শক্তির আরাধনা হয়ে থাকে। আর পুজো উপলক্ষে এলাকায় বসে মেলা।”

Kalipuja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy