মঙ্গলবার সকালে মালগাড়ি উল্টে যাওয়ার পরে। নিজস্ব চিত্র।
সপ্তমীর সকালেই বিপত্তি বাধল দিঘাগামী রেললাইনে। রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের অদূরে লাইনচ্যুত হল একটি মালগাড়ি। দুর্ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সন্ধে পর্যন্ত পাঁশকুড়া-হলদিয়া-দিঘা লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাঁশকুড়া-দিঘা লাইনে কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি দুটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেনও চলত। মঙ্গলবারের ঘটনার পর ট্রেনগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়। বুধবারও হাওড়া-দিঘা বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আসানসোল-হলদিয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই ট্রেন বুধবার আসালসোল থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত চলবে এবং সেখান থেকেই আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দেবে।
মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা দুর্ঘটনা না নাশকতা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে রেল। রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের জন-সংযোগ আধিকারিক গজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টির সঙ্গে রেলের অনেকগুলি বিভাগ যুক্ত। সবাইকে নিয়ে কমিটি গড়ে তদন্ত হচ্ছে। এর ফলে দু’টি ট্রেন আটকে গিয়েছিল। লাইন ফাঁকা করার চেষ্টা চলছে।’’
রেল সূত্রে খবর, হলদিয়া থেকে ডলোমাইট নিয়ে জামশেদপুর যাচ্ছিল ওই মালগাড়ি। এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ রাজগোদা স্টেশন পেরিয়ে রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে ঢোকার মুখে হঠাৎই লাইনচ্যুত হয়ে যায় মালগাড়িটি। ৯টি ওয়াগন কার্যত খেলনার মতো গিয়ে পড়ে আপ ও ডাউন লাইনে। ওয়াগন থেকে বেরিয়ে আসে মালগাড়ির চাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওভারহেড তার ও পোস্ট। সমর গুছাইত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত রেললাইনের প্যান্ড্রোল ক্লিপ খোলা ছিল।’’ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাজ্জব রেলের আধিকারিকরাও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর শাখার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার জেরে আপ ও ডাউন দুটি লাইনই মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রেন দিয়ে ওয়াগনগুলি সরানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy