টানা বৃষ্টিতে উত্তাল দিঘার সমুদ্র। — নিজস্ব চিত্র।
টানা তিন দিন ছুটি। শনি, রবির সঙ্গে বাড়তি পাওনা সোমবার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ছুটির আমেজে গা ভাসাতে ভ্রমণপিপাসু বহু মানুষ এখন দিঘায়। কিন্তু শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া অঝোর বৃষ্টির দাপটে সব পণ্ড। রবিবারও টানা বৃষ্টি চলতে থাকায় দিঘায় এসেও গৃহবন্দি অধিকাংশ পর্যটক। সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশ না থাকলেও দুর্ঘটনা এড়াতে উত্তাল সমুদ্রেও কাউকে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের মতো বছরের কয়েকটি বিশেষ দিনে দিঘার হোটেলগুলি ১০০ শতাংশ পরিপূর্ণ থাকে। এই সময় বহু পর্যটক আগাম হোটেল বুকিং সেরে রাখেন। এ বারও অধিকাংশ হোটেলে আগাম বুকিং থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ব্যবসা অনেকটাই মার খাচ্ছে। শনি এবং রবিবার যে ভাবে পর্যটক আসার কথা ছিল সেই লক্ষ্য পূরণ হল না বলেই দাবি হোটেলগুলির।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আবহাওয়ার অবনতির জন্য টানা ছুটিতেও দিঘার হোটেলগুলি পুরোপুরি ভর্তি হল না। আগাম বুকিং করেও অনেকে আসেননি। যাঁরা এসেছেন তাঁরাও সকাল থেকে রাস্তায় বেরোতে সমস্যায় পড়েছেন। তবে অনেকে আবার ছাতা মাথায় দিয়েই সমুদ্রের পাড়ে ছুটে যাচ্ছেন ঢেউ দেখার আশায়।’’দিঘা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। সমস্ত ঘাটেই নুলিয়া এবং পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ঝড়ের সতর্কবার্তা না থাকলেও সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল থাকায় পর্যটকদের জল থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। কল্যাণ রায় নামে ঢাকুরিয়ার এক পর্যটক বলেন, ‘‘টানা ছুটি রয়েছে বলে আগে থেকে হোটেল বুক করেছিলাম। শনিবার সন্ধ্যায় এসে নতুন দিঘার একটি হোটেলে উঠেছি। কিন্তু বৃষ্টির জেরে রবিবারটাই মাটি হয়ে গিয়েছে। বাচ্চাদের আব্দার রাখতে ছাতা মাথায় সমুদ্রের পাড়ে এলাম। কিন্তু সমুদ্র যে ভাবে উত্তাল তাতে স্নান করতে নামার সাহস পাইনি। সোমবার আবহাওয়ার উন্নতির হবে বলে আশায় রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy