Advertisement
E-Paper

ঘুমন্ত স্ত্রীর গলার নলি কেটে ‘খুন’ স্বামীর, বাধা দিতে গেলে মারধর পুত্রকেও, সবংয়ে অধরা অভিযুক্ত

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধু এবং বাবার মারে আহত ছেলেকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা উমারানিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৮
representational image

— প্রতীকী ছবি।

পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার ১১ নম্বর মোহাড় অঞ্চলের বরদায়। মৃত বধূর নাম উমারানি দাস জানা। বয়স ২৯ বছর। বাবার আক্রমণ থেকে মাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় ছেলেও। ঘটনায় অভিযুক্ত গুরুপদ জানা পলাতক।

পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু করেছে সবং থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ বছর আগে উমার সঙ্গে বরদা এলাকার গুরুপদের বিয়ে হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি নিয়মিত ছিল। স্থানীয়দের দাবি, বুধবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তার পর অবশ্য খাওয়াদাওয়া শেষ করে ছেলেকে নিয়ে তিন জনেই ঘুমিয়ে পড়েন। খুব ভোরে গুরুপদ স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কোপাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মায়ের চিৎকার শুনে নাবালক ছেলে বাবাকে বাধা দিতে যায়। তাকেও ছুড়ে ফেলেন বাবা। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বধূ পড়ে রয়েছেন। মায়ের পাশে কান্নাকাটি করছে ১৩ বছরের ছেলে। মৃত বধূর বাবা বলেন, ‘‘জামাই প্রতি দিন মদ্যপান করে বাড়ি ফিরত। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত। তারই প্রতিবাদ করায় মেয়েকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করেছে জামাই। তার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।’’

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধুর দেহ এবং আহত ছেলেকে উদ্ধার করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা উমারানিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাবালককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

Husband-Wife police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy