Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বধূকে পুড়িয়ে মারার নালিশ, ধৃত স্বামী-শ্বশুর

পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলে এক তরুণী বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত ওই বধূটির নাম কৃষ্ণা ভৌমিক (২০)।

কৃষ্ণা ভৌমিক। —ফাইলচিত্র

কৃষ্ণা ভৌমিক। —ফাইলচিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৬ ০১:২৫
Share: Save:

পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইলে এক তরুণী বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত ওই বধূটির নাম কৃষ্ণা ভৌমিক (২০)। সোমবার সকালে সাঁকরাইলের শ্বশুরবাড়ি থেকে কৃষ্ণাদেবীর দগ্ধদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কৃষ্ণাদেবীর স্বামী রাজু ভৌমিক সাঁকরাইল থানার অধীনে ভিলেজ পুলিশে কাজ করেন। মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন থানায় মৃতদেহ দেখতে গেলে পুলিশ তাঁদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন দুপুরে সাঁকরাইল থানায় বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে থানার সামনে পথ অবরোধও করেন।

কৃষ্ণাদেবীর বাবা তপন মাইতির অভিযোগের ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত দুই মূল অভিযুক্ত রাজু ভৌমিক ও তাঁর বাবা বিমল ভৌমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ, মঙ্গলবার তাদের আদালতে তোলা হবে।

জানা গিয়েছে, কৃষ্ণাদেবীর বাপের বাড়ি সাঁকরাইলের ছলাগেড়িয়া গ্রামে। দেড় বছর আগে সাঁকরাইল গ্রামের বাসিন্দা রাজু ভৌমিকের সঙ্গে কৃষ্ণাদেবীর সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। তপনবাবুর অভিযোগ, বিয়ের সময় মেয়েকে দশ ভরি সোনার গয়না, আসবাবপত্র-সহ সব মিলিয়ে চার লক্ষ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু তাতেও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সন্তুষ্ট হননি। আরও পণের জন্য কৃষ্ণাদেবীর উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হত না, কারও সঙ্গে কথা বলতেও দেওয়া হত না।

রবিবার রাতেও রাজু ও কৃষ্ণাদেবীর মধ্যে তুমুল গোলমাল হয়েছিল। তপনবাবু জানান, এ দিন সকালে বাপের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল কৃষ্ণার। কিন্তু সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাবাকে কাঁদতে কাঁদতে ফোন করে জানান, জামাই বলেছে বাপের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। এর কিছুক্ষণ পরে রাজু ফোন করে জানায়, কৃষ্ণার গায়ে আগুন লেগেছে।

মেয়ের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তপনবাবু ঘরের ভিতরে মেয়ের অগ্নিদগ্ধ দেহ পান। কিন্তু ঘরে অন্যত্র আগুনে পোড়ার কোনও চিহ্ন ছিল না। পুলিশ দেহ নিয়ে থানায় চলে যায়। এরপর থানায় মৃতদেহ দেখতে চান কৃষ্ণাদেবীর দিদি ও ভাইরা। অভিযোগ, তাঁদের মারধর করে থানা থেকে বের করে দেয় পুলিশ। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

burned murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE