বিটুমিন পুড়িয়ে রাস্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুরনো এই পদ্ধতির বিকল্প ব্যবস্থা নিতে সাদা কংক্রিটের রাস্তা (হোয়াইট টপিং) তৈরি করছে রাজ্য পূর্ত দফতর। আপাতত ‘পাইলট প্রজেক্ট’ খড়্গপুরে এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এই পদ্ধতি কার্যকর হলে অন্য জায়গাতেও রাস্তা তৈরিতে এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করবে পূর্ত দফতর।
খড়্গপুর শহরের উপকন্ঠে মকরামপুরগামী রাজ্য সড়কের মধ্যে বারবেটিয়া থেকে বেনাপুর পর্যন্ত ১ কিলোমিটার অংশে ওই পাইলট প্রকল্পের কাজ চলছে। পূর্ত দফতরের আধিকারিক শ্রীকুমার ভট্টাচার্য বলেন, “নতুন পদ্ধতি রাস্তা তৈরি কতটা সফল হবে তা জানতেই খড়গপুর আইআইটির সঙ্গে যৌথভাবে একটি পাইলট প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে। আপাতত খড়গপুর বাইপাসে এই পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে।”
পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ‘হোয়াইট টপিং’ পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব এবং অনেক বেশি টেঁকসই। রাস্তায় গর্ত প্রায় হয় না বললেই চলে। ফলে, দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কম থাকবে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। বেঙ্গালুরুতে একই পদ্ধতিতে রিং-রোডও তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ত দফতরের খড়্গপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অম্বিকা পাত্র বলেন, “ঢালাই রাস্তা পিচের থেকে শক্তিশালী। এই পাইলট প্রকল্পের ক্ষেত্রে এম-৪০ কংক্রিট, ফাইবারের মতো কিছু উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। পূর্ব ভারতের মধ্যে এখানেই প্রথম এমন রাস্তা হচ্ছে।”