গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্পে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও শাশুড়ি দু’জনেই। উপপ্রধান ও অন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই পরিবারের একাধিক সদস্য বিভিন্ন প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন।
সরকারি নিয়ম ভেঙে এই কার্যকলাপ চলছে বলে লালগড়ের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক সুদীপ গিরি। সে জন্য সুদীপবাবুকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। একে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তায় সুদীপবাবু তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের লালগড় ব্লক কমিটির সদস্য। স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছেন লালগড় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ, শনিবার প্রধান-সহ দলের সাত পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়। তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় বলেন, “উন্নয়নের প্রাপক তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে দলের কোনও ভূমিকা নেই। আজ, শনিবার সমস্যা মেটানোর জন্য প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে লালগড়ে বৈঠক করব।”
সুদীপবাবু প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “আমি বিভাগীয় আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করেছি। সংগঠনকেও জানিয়েছি। তবে সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলব না।” পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ঝাড়গ্রাম মহকুমা নেতা নান্টুলাল দাস অবশ্য বলেন, “প্রধানের অনৈতিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় সুদীপবাবুকে মারধর করা হয়। ঘটনাটি নিন্দনীয়। আমরা সংগঠনগত ভাবে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।”