জেলা সদর তমলুকের অদূরে রয়েছে নন্দকুমার। এই নন্দকুমারের ইচ্ছাপুর থেকে মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া পর্যন্ত রূপনারায়ণ নদের ভাঙন সমস্যা বহু পুরনো। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে নদের বাঁধ শক্তপোক্ত করা এবং নদের জলস্রোত পরিবর্তনের পরিকল্পনায় কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ইচ্ছাপুর থেকে অমৃতবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অংশে নদের ভাঙন সমস্যা গুরুতর। বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। ওই এলাকাতেই দনিপুর বাজারের কাছে নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, নন্দকুমার ব্লকের জন্য পানীয় জল সরবরাহ করতে ‘ইন্টেক জেটি’ গড়া হয়েছে। তাই ওই এলাকায় রূপনারায়ণের বাঁধ রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব কিছু ভাবনাচিন্তা করে বাঁধ শক্তপোক্ত করতে পদক্ষেপ করছে সেচ দফতর।
সেচ দফতর সূত্রের খবর, আপাতত ওই এলাকায় বাঁধের পাশে নদে পলি জমানোর লক্ষ্যে ‘ব্যাম্বু পর্কুপাইন’ পদ্ধতিতে তারের জালে ইটের টুকরো বোঝাই বাঁশের খাঁচা ফেলা হচ্ছে। এছাড়াও, বাঁধ পোক্ত করতে ব্লক পিচিং চলছে। এছাড়া, নদের ভাঙন প্রবণতা কমাতেই বাঁধের কাছাকাছি থাকা জলস্রোত দূরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সেচ দফতর। ‘ব্যাম্বু পর্কুপাইন’ পদ্ধতিতে জলস্রোতে পলি জলেই বাঁধ থেকে স্রোত দূরে সরবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাতে বাঁধের সুরক্ষাও বৃদ্ধি পাবে। সেচ দফতরের তমলুক মহকুমা আধিকারিক সৈনভ সিংহ বলেন, ‘‘রূপনারায়ণ বাঁধে ইচ্ছাপুর থেকে অমৃতবেড়িয়া পর্যন্ত অংশ শক্তপোক্ত করার কাজ হচ্ছে। ব্যাম্বু পর্কুপাইন পদ্ধতিতে ভাঙন প্রবণতা কমিয়ে নদের জলস্রোত পরিবর্তন করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)