Advertisement
E-Paper

সাজবে মুক্ত সংশোধনাগার

জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “জেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি খরগোশ রয়েছে। তারই কয়েকটি এখানে রাখা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার পরিবেশটা অন্য রকম হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:২৯
খেলা: মুক্ত সংশোধনাগারে খরগোশ। নিজস্ব চিত্র

খেলা: মুক্ত সংশোধনাগারে খরগোশ। নিজস্ব চিত্র

সাজবে মেদিনীপুরের মুক্ত সংশোধনাগার চত্বর। তৈরি হবে বাগান। থাকবে পশুপাখি। এমনই পরিকল্পনা জেল কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি খরগোশ আনা হয়েছে। সংশোধনাগার চত্বরের সামনের ফাঁকা জায়গায় বাঁশের বেড়া তৈরি করে সেগুলি রাখা হয়েছে। এর ফলে, ওই এলাকার পরিবেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে।

জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “জেলের মধ্যে বেশ কয়েকটি খরগোশ রয়েছে। তারই কয়েকটি এখানে রাখা হয়েছে। ফলে ওই এলাকার পরিবেশটা অন্য রকম হয়েছে।’’ মুক্ত সংশোধনাগারের দেওয়ালে মনীষীদের ছবি আঁকা রয়েছে। এঁকেছেন আবাসিকেরাই। সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সামনের ফাঁকা জায়গায় বাগান তৈরি পরিকল্পনা রয়েছে। ওই আধিকারিকের কথায়, “গাছপালা থাকলে দেখতে ভাল লাগে। এখানে কিছু গাছপালা ছিল। মুক্ত সংশোধনাগার তৈরির সময় সেগুলি কাটা হয়েছে। তাই নতুন করে গাছ লাগানো হবে।’’

জেলে সূত্রের খবর, মুক্ত সংশোধনাগারের বর্তমান পরিবেশ দেখে খুশিই হয়েছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং ডিজি (কারা) অরুণকুমার গুপ্ত। মেদিনীপুরে গিয়ে জেল সুপার সৌমিক সরকার জেলের ওয়েলফেয়ার অফিসার কর্ণদেব গোস্বামীকে সংশোধনাগারের পরিবেশের সৌন্দর্যায়নের পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।

মেদিনীপুর জেলের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা মুক্ত জায়গার কথা বলি। এই পরিবেশ সেই অর্থে মুক্তই। সংশোধনাগারের পরিবেশ আগের থেকে অনেক বদলেছে। এখন অনেক খোলামেলা। মুক্ত সংশোধনাগারের পরিবেশ আরও খোলামেলা হবে।” তিনি জানান, আবাসিকেরাই মুক্ত সংশোধনাগার সাজানোর কাজ করবেন। আর কালাচাঁদ গড়াই, সুজিত দোলই, সাক্ষ্মীগোপাল ঘোষের মতো আবাসিকেরাও মেদিনীপুরে মুক্ত সংশোধনাগার চালু হওয়ায় খুশি।

প্রসঙ্গত, আগে রাজ্যে তিনটি মুক্ত সংশোধনাগার ছিল। মেদিনীপুরের সংশোধনাগারটি চতুর্থ। অনেকদিন ধরে যারা জেলে রয়েছে, সব দিক বিচার করে তাদের মধ্যেই কয়েকজনকে মুক্ত সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। মেদিনীপুরের মুক্ত সংশোধনাগারে ৩২টি সেল রয়েছে। প্রতিটি সেলে দু’জন করে থাকার কথা। বর্তমানে সেখানে ৩৪ জন রয়েছে। আবাসিকরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাইরে গিয়ে কাজকর্ম করতে পারে। ওই আবাসিকদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে এই উদ্যোগ।

জেলের এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা মুক্ত সংশোধনাগারের পরিবেশ ঘরের মতোই করতে চাইছি। যাতে পরবর্তী সময় পরিবারের লোকেরাও এখানে থাকতে পারেন। আপাতত সেই চিন্তাভাবনাও রয়েছে।” তাঁর কথায়, “সাজা শেষের পরে আবাসিকেরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে যাক, সরকার এটাই চায়। চার দেওয়ালের মধ্যে একা থাকলে কষ্ট হয়। সঙ্গে পরিবার থাকলে সেই কষ্টটা হয় না। পরিকল্পনা মতো কাজ হলে এক, দেড় মাসের মধ্যে এখানকার পরিবেশ আরও মুক্ত হবে। আরও খোলামেলা হবে।”

Prison Jail Garden Correctional Home সংশোধনাগার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy