E-Paper

নতুন করে সাজল জঙ্গলকন্যা পার্ক

২০১৭ সালে ২৫ ডিসেম্বর নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে চালু হয়েছিল ওই পার্ক। শুধু পার্ক নয়, তার পাশেই নদী পাড়ে রয়েছে দীর্ঘ আম ও শিশু বাগান এবং পিকনিকের ব্যবস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৩
জঙ্গলকন্যা পার্ক।

জঙ্গলকন্যা পার্ক। —ফাইল চিত্র।

সুবর্ণরেখার পাড়ে বসে প্রকৃতি উপভোগ করার অন্যতম জায়গা ছিল নয়াগ্রাম ব্লকের ডাহি এলাকার জঙ্গলকন্যা পার্ক। তিন কোটি টাকা ব্যয়ে পার্ক তৈরি করেছিল পঞ্চায়েত সমিতি। তবে করোনা কালে দেখভাল না হওয়ায় নষ্ট হতে বসেছিল পার্ক। সম্প্রতি নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ফের নতুন করে পার্কটি সাজানোর পরিকল্পনা হয়। কাজও শেষ। কয়েকদিন আগে নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু ওই পার্কের নতুন করে উদ্বোধনও করেছেন। ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফের পার্কটি সাজানোর পরিকল্পনা করে নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। নয়াগ্রামের বিডিও সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে পার্কটি চালু হয়েছে। তবে সংস্কারের কাজ এখনও চলছে।’’

২০১৭ সালে ২৫ ডিসেম্বর নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে চালু হয়েছিল ওই পার্ক। শুধু পার্ক নয়, তার পাশেই নদী পাড়ে রয়েছে দীর্ঘ আম ও শিশু বাগান এবং পিকনিকের ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুবর্ণরেখা নদীর উপরে দেড় কিলোমিটার লম্বা জঙ্গলকন্যা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। ওই বছরই জঙ্গলকন্যা সেতুর পাশে সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ে ডাহি এলাকায় আট একর জায়গা জুড়ে জঙ্গলকন্যা পার্কের কাজ প্রথম শুরু হয়। একশো দিনের কাজ ও বিভিন্ন প্রকল্প টাকা থেকে তিন কোটি টাকা খরচ হয় ওই পার্ক তৈরি করতে। সেখানে রয়েছে ডাইনোসর-সহ বিভিন্ন মডেল, সাময়িক বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটি রেস্ট হাউস, একাধিক কংক্রিটের বসার ছাউনি। মহিলা ও পুরুষদের জন্য অনেকগুলি পৃথক শৌচালয় ও স্নানাগার, একটি কৃত্রিম ছোট পাহাড়, স্লিপার ও দোলনা সহ বাচ্চাদের খেলার বিভিন্ন সামগ্রীও আছে ওই পার্কে। পুরো এলাকাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। সুবর্ণরেখা নদীতে প্রচুর জল বেড়ে যদি এই পার্কে ঢুকে যায়, তাহলে তা বের করানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।

পার্কের বাইরে বিশাল জায়গা জুড়ে আছে আম ও শিশু গাছের বাগান। আছে ভেষজ উদ্যানও। সুবর্ণরেখা নদীচরে আরও ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কংক্রিটের ছাউনিযুক্ত ১৫টি বসার জায়গা করা হয়েছিল। সেখানে পর্যটকরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। করোনা কালে দেখভাল না হওয়ায় পার্ক, সংলগ্ন বাগান ও বসার ছাউনিগুলির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক দুলাল বলেন, ‘সংস্কার করে পার্ক চালু করা হয়েছে। কাজ এখনও চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nayagram Block

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy