Advertisement
E-Paper

ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত শিক্ষক

অভিযুক্তের নাম স্বরূপচন্দ্র বিশুই। ঝাড়গ্রাম ব্লকের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৪
অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে পড়ানোর সময় যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। প্রতীকী চিত্র।

অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে পড়ানোর সময় যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি। প্রতীকী চিত্র।

শিক্ষক হিসেবে এলাকায় নাম ডাক রয়েছে তাঁর। তিনি যে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেটি পুরস্কারও পেয়েছে। স্কুলের উন্নতিতে তাঁর অবদানও কম নয়।

সেই শিক্ষককেই গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে পড়ানোর সময় যৌন নির্যাতন করেছেন তিনি।

অভিযুক্তের নাম স্বরূপচন্দ্র বিশুই। ঝাড়গ্রাম ব্লকের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্বরূপের স্ত্রী সীমা বিশুই বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী সপ্তম শ্রেণি থেকে আমার স্বামীর কাছে পড়ছে। কেন এমন অভিযোগ করল বুঝতে পারছি না। বৃহস্পতিবার বাড়ি যাওয়ার আগে আমার কাছে জল চেয়েও খেয়েছিল।’’
সরকারি ও বেসরকারি সাহায্যে ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন স্বরূপ।

সেই স্বরূপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বিস্মিত তাঁর সহকর্মী থেকে বন্ধু-পরিজনরাও।
স্ত্রী ও দশম শ্রেণির স্কুলপড়ুয়াকে মেয়েকে নিয়ে স্বরূপ থাকেন ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে। বাড়িতে মূলত হাইস্কুলের ছেলেমেয়েদের অঙ্ক করান তিনি। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বরূপের বাড়িতে মেয়ে পড়তে যায়। স্বরূপ বাড়িতে ছিলেন না। দোতলায় অন্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর মেয়েও অপেক্ষা করতে থাকে। ডোর বেল বাজায় ওই ছাত্রী একতলায় নেমে দরজা খুলে দেয়। অভিযোগ, এক তলার সিঁড়ির ঘরে স্বরূপ তাকে একা পেয়ে যৌন নির্যাতন চালান। রাতে বাড়ি ফিরে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিভাবকদের সব জানায়। মেয়েটির বাবা জানান, স্বরূপের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা কৈফিয়ত চাইলে স্বরূপ দোষ স্বীকার করেন। রাতেই ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ জানান ছাত্রীর বাবা। তার ভিত্তিতে গভীর রাতে বাড়ি থেকে স্বরূপকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত পক্ষের দুই আইনজীবী কৌশিক সিংহ ও সত্যজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘একজন আদর্শ শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। পকসো আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে।’’ কুমারী গ্রামের প্রাথমিক স্কুল ও স্কুলের উন্নতিতে স্বরূপের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদসমূহ আদালতে দাখিল করে স্বরূপের জামিনের আর্জি জানান তাঁর দুই আইনজীবী। বিচারক আজ, শনিবার জামিনের আবেদনের শুনানি করবেন। স্বরূপকে চোদ্দ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
স্বরূপের স্ত্রী সীমার অভিযোগ, রাতে মেয়েটির অভিভাবকরা বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর স্বামীকে মারধর করেন। তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন সোমা। কিন্তু কী কারণে স্বরূপকে ফাঁসানো হতে পারে, সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।

Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy