Advertisement
E-Paper

বাবা পেশায় আইনজীবী, মা শিক্ষিকা, আর্কিটেকচার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মাধ্যমিকে চতুর্থ হওয়া কাঁথির সুপ্রতীক

সুপ্রতীকের বাবা পেশায় একজন আইনজীবি। আর মা স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা। তবে ব্যস্ততার কারণে বাবা-মায়ের কাছে সে ভাবে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি বলেই জানিয়েছে সুপ্রতীক।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৫ ২২:৩৪
সুপ্রতীক মান্না।

সুপ্রতীক মান্না। —নিজস্ব চিত্র।

পাহাড়ে ঘোরা ভীষণ পছন্দের। জীবনের ধ্যানজ্ঞান একজন সফল কম্পিউটার আর্কিটেকচার হয়ে ওঠার। সারা দিনের পড়াশোনার ফাঁকে কম্পিউটারে মুখ গুঁজে বসে থাকাই তাঁর কাজ। এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করে কাঁথি মডেল ইনস্টিটিউশানের ছাত্র সুপ্রতীক মান্না জানিয়ে দিল, “দিনে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা আর শিক্ষকদের পরামর্শ মতো এগিয়ে চলা।” তবে রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করার নেপথ্যে কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অবদানকেই বিশেষ ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রতীক। তার মতে, “আমার এই সাফল্যের জন্য যে কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম নিতেই পারি। ওদের সঙ্গে নিয়মিত গ্রুপ ডিসকাসান, বিভিন্ন সমস্যার উত্তর খুঁজে পেতে ওরাই সব থেকে বেশি সহযোগিতা করেছে।”

সুপ্রতীকের বাবা পেশায় একজন আইনজীবি। আর মা স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা। তবে ব্যস্ততার কারণে বাবা-মায়ের কাছে সে ভাবে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি বলেই জানিয়েছে সুপ্রতীক। বাড়িতে একা থাকার সময় নিজের পড়া সেরে রাখা এবং প্রতিটি বিষয়ে আলাদা করে প্রাইভেট টিউটর রেখে পড়া চালিয়েছে সুপ্রতীক। তার কথায়, “বাবা মায়ের সহযোগিতা ছাড়া আমার এই সাফল্য কোনও দিনই আসত না। তবে ব্যস্ততার জন্য ওরা বেশি সময় দিতে পারেননি। যদিও আমার পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন তারা।”

সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা হলেও সুপ্রতীকের প্রথম পছন্দ পাহাড়ে ঘোরা। সুপ্রতীক জানিয়েছে, “মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে হিমাচল প্রদেশে ঘুরে এসেছি। এর পর ২০২৭ সালে জেইই পরীক্ষার প্রস্তুতি, সেই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা। এই টাস্ক শেষ না হওয়া পর্যন্ত পড়াশোনাতেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চাই।’’

সুপ্রতীকের মা কাজল বেরামান্না বলেন, ‘‘মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেখানে এত ভাল ফল করেছে। তবে ছেলের জন্য আমি খুব বেশি সময় দিতেই পারিনি। ওর এই সাফল্য একান্তই আমার ছেলের নিজের। সেই সঙ্গে ছেলের প্রাইভেট টিউটরেরা অত্যন্ত আদর-যত্ন নিয়ে ছেলেকে তৈরি করেছেন। ওর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদানও অপরিসীম। ভবিষ্যতে ছেলে কম্পিউটারে আর্কিটেকচার হতে চায়। সেই জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক, ওর স্বপ্ন পূরণ হোক এটাই আমাদের প্রার্থনা।”

Madhyamik 2025 Kanthi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy